৭১ এর চিঠি
একাত্তরে বাংলাদেশে
এলো দানব দত্যি
কল্পনা নয় সত্যি।
দানব এসে মানব মেরে
নাচে আবার তা ধিন
মানবেরা যুদ্ধ করে
হতে কেবল স্বাধীন।
রাজাকাররা দানবদের
করতে থাকে ভজন
মারলো মিলে তারা তখন
দেশের শিশু, স্বজন।
মার্চে শুরু যুদ্ধ লড়া
ডিসেম্বরে শেষ
এক সাগর রক্তে এলো
সোনার বাংলাদেশ।
মুক্তিযুদ্ধ
বলতে পারো একাত্তরে নেয়নি কে পোষ মানি?
মুক্তিযুদ্ধের অধিনায়ক আতাউল গণি ওসমানী।
একাত্তরে তাঁর এলাকায় পাকরা মিশন চালায়
গণহারে মারলো মানুষ এবং বাড়ি জ্বালায়।
একাত্তরের ছাব্বিশে মে সময় সকাল দশ
বুরুঙ্গাতে পাকরা নামায় লাশের পাহাড় ধ্বস।
একাত্তরে মারলো সেদিন আটাত্তর জন লোক
কাঁদে আকাশ, কাঁদে বাতাস, সবাই করে শোক।
বুরুঙ্গারই হাই স্কুলের কোমল সবুজ ঘাসে
সবুজ লতা লাল হলো যে বাঙালিদের লাশে
পালিয়ে গিয়ে প্রাণ বাঁচালো জীবিত কেউ আছে
শহীদ সবার রক্ত জমা পুবের কাঁঠাল গাছে।
সবার দুটি মামা
সবার দুটি মামা আছে সবার দুটি মামা
গাইতে জানে তারা বুঝি সারে-গামা-পামা।
উদোম থাকে দিনে-রাতে ক্যান পরেনা জামা?
মা-ও বলে মামা তাদের নানুও বলে তাই
চাঁদ-সূর্য সবার মামা আমিও ডেকে যাই।
সূর্যমামা তিরিশ দিনে ভোর বেলাতে জাগে
ফুলরা ফুটে তার আসাতে কুসুমকলির বাগে।
চাঁদমামাটা কপালজুড়ে আসতে ডাকে মায়
অর্ধমাসে দেখি তারে পরে কোথায় যায়
চাঁদমামা কী দুধের বাটি একলা নিজে খায়?
সূর্যমামা দিনের আলো চাঁদ মামা দেয় রাতে
লুকোচুরি আমরা খেলি জোনাকিদের সাথে
ঘুমকাতুরে চাঁদমামাটা ঘুমের ঘরে যায়
সূর্যমামা আলসে তো নয় ছুটি বুঝি পায়?
ছড়াকার লুৎফুর রহমান ‘মুকুল’ নামে একটি মাসিক পত্রিকা সম্পাদনা করেন। তার ছয়টি ছড়ার বই, একটি ভ্রমণ ও একটি প্রামাণ্য বই প্রকাশ পেয়েছে। একাত্তরে সিলেট বিভাগের গণহত্যা নিয়ে তার লেখা বই ‘লাল সবুজের ছড়া’।