শেষে একটা সাদা হাতি পেয়েও যান তিনি। কিন্তু সে হাতি শেকল ছিঁড়ে আস্তাবল থেকে বেরিয়ে কি কাণ্ডটাই না করলো!
তোমরা যারা গল্পটা পড়োনি, নিশ্চয়ই পরে পড়ে নেবে। কিন্তু আমরা জানতে চাই হাতির সঙ্গে আসলেই কি হাতাহাতি সম্ভব? হাতির কি হাত আছে! চারটাই তো পা আর একটা শুঁড়। যদি থাকতো কি কাণ্ডটাই না হতো!
আজ আমরা জানবো হাতির এমন কিছু বৈশিষ্ট্য, যা শুনলে অন্য কোন প্রাণীই হাতির সঙ্গে হাতাহাতি করার সাহস পাবে না। চলো তাহলে জেনে নেওয়া যাক সে বৈশিষ্ট্যগুলো কী-
১. হাতির শুঁড়ে পেশি আছে ৪০ হাজার, ওজন প্রায় ৪০০ পাউন্ড। আমরা মনে করি সে শুধু ভারি জিনিসপত্রই উঠাতে পারে। কিন্তু হাতির শুঁড় এতো দক্ষ যে ছিটিয়ে থাকা ছোট্ট একটা চাউলের দানাও উঠাতে পারে।
২. হাতির চামড়া দেখতে পুরু মনে হলেও তা খুব অনুভূতিপ্রবণ, এমনকি শরীরের কোথাও ছোট্ট একটা মাছিও যদি বসে হাতি তা বুঝতে পারে।
৩. হাতি তার পায়ের কোষ দিয়ে ভূমিকম্পজনিত সিসমিক সংকেত বুঝতে পারে। চারপাশে অন্য কোন প্রাণী থাকলে সে তা টের পায় মাটির ভূকম্পন থেকে।
৪. হাতি ভিন্ন ভিন্ন সুরে ডাকতে পারে। হাতির সবচেয়ে জনপ্রিয় ডাককে ইংরেজিতে ‘ট্রাম্পেট’ বলা হয়। উত্তেজনা, আগ্রাসন বা দুঃখ কষ্টের সময় দেওয়া এ ডাক অন্য হাতিরা ৬ মাইল দূর থেকে শুনতে পারে।
৫. দলবদ্ধ থাকতে পছন্দ করা হাতিদের স্মৃতিশক্তি খুব ভালো। অনেকদিন পর্যন্ত তারা একটা বড় এলাকা বা মানচিত্রকে মনে রাখতে পারে।
৬. গান শোনা, শোক, কান্না বা কাউকে হারানোর বেলায় হাতির অনুভূতি মানুষের মতোই। প্রিয় কেউ মারা গেলে তার স্মৃতি অনেক বছর মনে রাখতে পারে হাতি। ‘এলিফ্যান্ট হুইস্পার’ বইয়ের লেখক লরেন্স এন্থনি যখন মারা যান তার বাড়িতে এক পাল হাতি শোক প্রকাশ করতে এসেছিলো।
৭. একটা বড় হাতি প্রতিদিন ১৬ ঘণ্টা খায়। একদিনে তার ৬০০ পাউন্ড খাবার লাগে।
৮. ম্যাগপাই পাখি ও ডিলফিনের মতো হাতি নিজেকে আয়নায় দেখলে চিনতে পারে।
৯. হাতির বড় বড় কান তার শরীর থেকে অতিরিক্ত তাপ কমাতে সাহায্য করে।
১০. হাতি পানি পছন্দ করে। পানিতে ঝাঁপ দেওয়া ও সাঁতার কাটা হাতির শখ।
১১. হাতির গড় বয়স ৫০ থেকে ৭০ বছর। পৃথিবীর সবচেয়ে বয়স্ক হাতি ২০০৩ সালে ৮৬ বছর বয়সে মারা যায়।