ঘড়ি বলবে সময়

ঘড়ির দোকানে কিছু ঘড়ি পাওয়া যায় যেটা আসলে কখনও চলে না। স্থির থাকে, আর কাটাগুলো হাতে নড়িয়ে নেওয়া যায়। এই ঘড়ির ব্যবহার সারাক্ষণ সময় প্রদর্শন করা নয়। বরং নির্দিষ্ট একটা কাজ কখন করতে হবে তা জানিয়ে দেওয়া। যেমন মসজিদে এরকম ৫টা ঘড়ি থাকে। প্রতিটাতে ঘড়িতে এক একটা নামাজের সময় দেখানো থাকে। যেমন ফজর মানে সকালের নামাজের সময় সকাল ৩:৫৭ তে আবার মাগরিব মানে সন্ধ্যার নামাজের সন্ধ্যা ৬:৪৬ এ। সিনেমা হলে বা বাস স্টেশনেও এরকম নির্দিষ্ট সময়কে নির্দেশ করা ঘড়ি থাকতে পারে। এ ঘড়িগুলোর কাটা নড়ে না। বরং সারাদিন একই জায়গায় দাঁড়িয়ে সইকে ক্রমাগত সেই নির্দিষ্ট কাজ করার সময়টা জানাতে থাকে।

মাকসুদা আজীজবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 15 June 2017, 08:36 AM
Updated : 15 June 2017, 08:36 AM

ইদানীং ডিজিটাল ঘড়ির বহুল ব্যবহারেও এ ধরণের ঘড়ির চাহিদা নেহায়েত কম নয়। সাধারণ একটা ঘড়ি চোখের সামনে থাকলে সময় শুধু জানা যায় না, ছবিটাও মনে গেঁথে চায়, তাই এই ঘড়ির আবেদন কখনও কমে না। 

আমরা আজকে ঘরেই এমন একটা ঘড়ি বানাবো যেটি সারাদিন এক জায়গায় দাঁড়িয়ে থেকে আমাদের নির্দিষ্ট কাজের সময় জানাবে।

যা যা লাগবে—

১। স্টাইরোফোম (Styrofoam) এর প্লেট ১টি

২। বোর্ড পিন ১টি

৩। শক্ত কাগজ ২ রঙের

৪। কাঁচি

৫। স্কেল

৬। চাঁদা

যেভাবে করবো—

১। স্টাইরোফোমের প্লেট বা ফোমের একবার ব্যবহার করা যায় এমন প্লেট নিয়ে স্কেল দিয়ে মেপে সেটার মধ্যবিন্দু বের করতে হবে।

২। মধ্য বিন্দুতে পরস্পরের উপর লম্ব এমন দুইটি রেখা টানতে হবে। এভাবে স্টাইরো ফোমের গোল প্লেটটিকে সমান ৪ ভাগে ভাগ করা যাবে, ঘড়িতেও আসলে মূল চারটি ভাগই থাকে। ১২, ৩, ৬ ও ৯ এর কাটায়।

৩। একটা বৃত্তের মাপ হচ্ছে ৩৬০ ডিগ্রি। এটি চার ভাগ হয়ে গেলে পুরো বৃত্তটায় ৪টি এক সমকোণ বা ৯০ ডিগ্রি করে অংশ পাওয়া যাবে। প্রতিটি সমকোণ অংশে ৯০ ডিগ্রি জায়গা আছে। এই জায়গাগুলোকে যদি সমান তিন ভাগ করতে হয় তবে তিরিশ ডিগ্রি করে মেপে আলাদা করা যায়, তাহলে ১২, ৩, ৬ ও ৯ এর মাঝের সংখ্যাগুলোও বসানো যাবে।   

৪। তাহলে আমরা সহজেই ১২, ১, ২, ৩, ৪, ৫, ৬, ৭, ৮, ৯, ১০ ও ১১ সংখ্যাগুলো বসাতে পারবো।

৫। সব সংখ্যা বসানো হলে মাঝের দাগগুলো মুছে দেওয়া যেতে পারে। এখন শক্ত কাগজগুলো দিয়ে তীর চিহ্নের মতো করে কেটে নিতে হবে, একটু মোটা হলে ভালো হয়। একটা তীর চিহ্ন একটু লম্বা হবে আরেকটু একটু খাটো হবে। লম্বাটা মিনিটের কাটা আর খাটোটা ঘণ্টার।

৬। এবার একদম মধ্য বিন্দুতে কাটার চিহ্ন দুটো বোর্ড পিন দিয়ে আটকে দিতে হবে।

হয়ে গেল আমাদের ঘড়ি। এখন এই ঘড়ি আমরা ঘরের যে কোনো জায়গায় বা ফ্রিজের সাথেও আটকে দিতে পারি। চাইলে অনেকগুলোও ঘড়ি বানাতে পারি। এখন ঘুমানোর আগে ঘড়িতে সময় দেখিয়ে দরজার বাইরে লাগিয়ে ঘুমিয়ে যাওয়া যাবে। বাসার লোকেরা ঠিকই সময় বুঝে তুলে দিবে। আবার বাবা মাও পড়ার সময়টা ঠিক করে ঝুলিয়ে রাখতে পারে। আমরা বুঝে নিবো কখন আমাদের পড়তে বসতে হবে। মজার হবে না ব্যাপারটা?