পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর প্রাণী

ছোট এক ফোঁটা একটা জীব। একদম একটা চা চামচে নিয়ে ফেলা যাবে। এত ছোট প্রাণীকে দেখতে পাওয়া কি সহজ কথা বলো? কিন্তু ছোট বলেই চোখ এড়িয়ে যাওয়ার উপায় এই ক্ষেত্রে অন্তত নাই। কেন জানো? কারণ অস্ট্রেলিয়ার সমুদ্র উপকূলের কাছের অগভীর সাগরের তলে লেখা থাকা এই ছোট্ট প্রাণীটির গায়ের রঙ হয় বিচিত্র। শুধু গায়ের রঙই নয় গাঁয়ে নানান ধরণের ছিটা, দাগ, ডোরা মিলিয়ে সেটা দেখতে এতই সুন্দর দেখায় যে একে পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর প্রাণীও বলা হয়।

মাকসুদা আজীজবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 12 June 2017, 11:59 AM
Updated : 12 June 2017, 11:59 AM

এত কথার মধ্যে যে মূল কথাটাই এখনও বলা হয়নি তা হচ্ছে প্রাণীটির নাম, এ প্রাণীটির নাম নিউডিব্রোঙ্ক ইংরেজিতে অবশ্য বানানটা NUIDIBRANCH তবে উচ্চারণ ‘নিউ-ডিহ-ব্রোঙ্ক’ এভাবে করা হয়। নিউডিব্রোঙ্করা তাদের ছোট্ট অমেরুদণ্ডী শরীর দিয়ে সহসাই একজন মানুষের মুখে হাসি ফুটিয়ে দিতে পারে। 

পৃথিবীতে নিউডিব্রোঙ্কদের ৩ হাজারের মতো প্রজাতি আছে। এদের প্রত্যেকেই গ্রীষ্মমণ্ডলীয় সমুদ্রগুলোর উপকূলের অগভীর পানিতে বসবাস করে। সেই যে বললাম ওরা খুব ছোট, ওরা কত ছোট এখন সেটা সংখ্যায় প্রকাশ করলে বুঝতে অনেক সহজ হবে। প্রজাতিভেদে একটা নিউডিব্রোঙ্ক এক ইঞ্চির চার ভাগের এক ভাগ থেকে ১২ ইঞ্চি পর্যন্ত হতে পারে। আর ওদের ওজন সর্বোচ্চ তিন দশমিক তিন পাউন্ড পর্যন্ত হয়।

শরীর ছোট বলে অবশ্য তাকে করে না তো ফোসফাঁস, মারে না তো ঠুসঠাস গোছের কিছু মনে করার কোনো কারণ নেই। ওদের এক সেট শক্তিশালী দাঁত থাকে। তা দিয়ে কোরাল, স্পঞ্জ, মাছের ডিম ইত্যাদি সাগরের মেঝে থেকে নিয়ে খায়।  এ ছাড়াও ওদের মাথার কাছে কিছু কর্ষিকা থাকে যেগুলো দিয়ে নিউডিব্রোঙ্করা খাবার খুটে খুটে বের করে।

নিউডিব্রোঙ্করা যে খাবার খায় তা শুধু তাদের পেট ভরার জন্য নয়। এই খাবার ওদের শরীরকে রাঙাতেও সহায়তা করে। যখন ওরা খাবার খায় তখন খাদ্যের দেহে থাকা রঞ্জক পদার্থকেও ওরা শুষে নেয়। কিছু নিউডিব্রোঙ্ক তো ওদের শিকারের দেহ থেকে বিষও শুষে নেয় আর তা ত্বকে নিঃসরণ করে। এই বিষ তাদের মাছ এবং অন্য শিকারিদের খাদ্য হওয়া থেকে নিউডিব্রোঙ্ককে রক্ষা করে।