হোভারক্রাফট হচ্ছে সে সব যন্ত্র যারা বাতাসের শক্তি ব্যবহার করে চলাচল করতে পারে। সাধারণ হোভারক্রাফটের নিচের অংশ একটা বাতাস ভর্তি কুশনে মোড়া থাকে, যেটাকে স্কার্ট বলে, ফলে এমনিই বাহনটা কিছুটা হালকা অনুভূত হয়। এরপর পিছনের দিকে এক বা একাধিক পাখা থাকে যেগুলো বাহনটি সামনের দিকে ঠেলে দেয়।
ক্রিস্টোফার ককরেল নামে একজন বিজ্ঞানী সর্ব প্রথম একটি হোভারক্রাফটের ডিজাইন করেন বলে জানা যায়।
আমরা আজকে একটা হোভারক্রাফট বানাবো। এতে কোনো স্কার্ট নেই। মানে নিচের দিকে কোনো কুশন থাকবে না। তবে এটা একদম এক নম্বরি হোভারক্রাফট কারণ এটা পুরোই বাতাসের শক্তি ব্যবহার করে চলবে।
যা যা লাগবে—
১। একটা বেলুন
২। একটা পুরাতন অকেজো সিডি
৩। আঠা (সুপার গ্লু)
৪। স্পোর্টস ফ্লাস্কের পপ আপ মুখ।
যেভাবে বানাবো—
১। প্রথমে এমন একটা সিডি নিতে হবে যেটা কারও কাজে আসে না, অথবা যেটিতে জরুরি কোনো ডেটা সংরক্ষিত নেই।
২। স্পোর্টস ফ্লাক্সের উপরের পপ আপ মুখটা আঠা দিয়ে সিডির মুখে খুব করে এঁটে দিতে হবে। মুখের নিচের অংশ যেন সিডির ঠিক মধ্যে এবং মধ্যেখানের ছিদ্রের উপরে থাকে। এতে হোভারক্রাফটের ভারসাম্য ঠিক থাকবে আর বাতাসও ঠিকভাবে বের হতে পারবে।
৩। পপ আপ মুখ আটকে দেওয়ার পরে বেলুনটি ফুলিয়ে সেটা পপ আপ মুখে এঁটে দিতে হবে। যেহেতু পপ আপ মুখটা আটা তাই বাতাস বের হতে পারবে না আর এভাবেই বেলুনটা দাঁড়িয়ে থাকবে। এটাই আমাদের হোভারক্রাফট।
৪। এখন একটা সমতল জায়গা যেমন মেঝে বা টেবিলের উপরে হোভারক্রাফটটাকে রেখে সামান্য ধাক্কা দিয়ে দেখতে হবে এটা কতদূরে যায়। স্বাভাবিকভাবেই এটা খুব বেশি দূরে যাবে না।
৫। এইবার হোভারক্রাফটটা তল থেকে খুব সামান্য উপরে তুলে পপ আপ মুখটা উপরে তুলে বেলুনের বাতাস বের হওয়ার পথ করে দিতে হবে। এভাবে রাখলে হোভারক্রাফটটা ভেসে থাকবে। এখন এটাকে সামান্য ধাক্কা মারলেই এটা উড়ে চলে যাবে। যতক্ষণ বেলুনের বাতাস শেষ না হবে এটাকে কেউই আটকাতে পারবে না।
৬। বেলুনের বাতাস শেষ হয়ে গেলেও ভয়ের কিছু নেই। একইভাবে বেলুনটা খুলে নিয়ে আবার ফুলিয়ে এটাকে উড়ানো যাবে অনেকক্ষণ।