চিপমাংক

ডিজনির চিপ এন্ড ডেলি সিরিজের কাঠবিড়ালি দুটির কথা নিশ্চয়ই মনে আছে। সেই যে মোটুসোটু, দুষ্টু, একটা একটু মজার আরেকটা খুবই একাগ্র ধরণের কাঠবিড়ালি? ওরা কিন্তু ঠিক কাঠবিড়ালি না। ওরা কাঠবিড়ালিদের পরিবারের আরেক ধরণের জীব। ওদের নাম চিপমাংক।

মাকসুদা আজীজবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 3 June 2017, 08:16 PM
Updated : 3 June 2017, 08:16 PM

চিপমাংকদের আর কাঠবিড়ালিদের পরিবার একই হওয়ার কারণে ওদের চেহারা অনেকটাই কাঠবিড়ালিদের মতো। যদিও চিপমাংকরা কিছুটা ছোট হয়। আর ওকের মুখে আর পিঠেও একই রঙের হালকা ও গাড় ডোরা দাগ থাকে।

আমরা যারা বাংলাদেশে থাকি সচরাচর চিপমাংকদের দেখা পাই না। কেন জানো? কারণ চিপমাংকদের ২৫টা প্রজাতির ২৪টাই থাকে উত্তর আমেরিকায়। তবে ওরা সব ধরণের আবাসেই থাকতে পারে। হোক সেটা, পাহাড়, জঙ্গল, সমতলভূমি বা মরুভূমিতেও। তবে ওদের বাড়ী বা ডেরা যেটা থাকে সেটা হতে হবে কোনো গাছের ভিতরের বড় গর্তে। ব্যাস এতটুকুই ওদের চাহিদা!

যখন শীতকাল আসে তখন চিপমাংকরা ঘুমাতে চলে যায়। গোটা শীতকাল এভাবে ঘুমিয়েই কাটায়। এই ঘুমকে বলে শীতনিদ্রা বা হাইবারনেশন। কারণ শীতের দেশগুলোতে তো তুষার পরে। তখন ফল শষ্য পাওয়া খুব দুষ্কর হয়ে যায়। এই শীতের সময় যেন না খেয়ে মরে যেতে না হয় তাই ওরা শরীরের কার্যক্রম কমিয়ে এনে ঘুমিয়ে পড়ে। এরই নাম শীতনিদ্রা। এমনিতে শীতের জন্য চিপমাংকরা ভালো পরিমাণে খাদ্যের সঞ্চয় করে রাখে।  

চিপমাংকদের প্রিয় খারাব হচ্ছে ওক গাছের ফল। ওরা এতই কর্মঠ যে একদিনেই ১৬৫টার মতো ওক গাছের ফল যেটকে ইংরেজিতে বলে অ্যাকরন তা সংরহ করে রাখতে পারে। আর এইভাবে সংগ্রহ করলে ওদের এক একজনের মাত্র দুইদিন সময় লাগে সমগ্র শীতের খাদ্য সংগ্রহ করতে। কিন্তু ওদের অভ্যাস হচ্ছে প্রয়োজনের চেয়ে অনেক বেশি খাদ্য যোগার করে রাখা।

শীত শেষে যখন বসন্ত আসে তখন মা চিপমাংকরা ছোট ছোট বাবু চিপমাংকদের জন্ম দেয়। একজন মা চিপমাংক একসঙ্গে পাঁচটা চিপমাংকও জন্ম দিতে পারে। শুধু বসন্ত হতে হবে এমনও কোনো কথা নাই। বছরের অন্য সময় আরেকবারও মা সন্তান জন্ম দিতে পারেন।

জন্মের পরে ছয় সপ্তাহ পর্যন্ত বাবু চিপমাংকগুলো মায়ের সঙ্গে ওদের বাসাতেই থাকে। এরপরে শুরু হয় নিজের মতো পৃথিবীকে বুঝে নেওয়ার পালা।