আগুন জ্বলে পানির নিচে

আগুন আর পানির সম্পর্ক অনেকটা সাপ আর নেউলে মতো, অথবা বলতে পারো, আদায় কাঁচকলায়, তবে যে নামেই ডাকো না কেন পানি আগুনের ঘোর শত্রু। পানি ঢাললেই আগুন নাই।

>>মাকসুদা আজীজবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 18 May 2017, 09:29 AM
Updated : 18 May 2017, 09:29 AM

এমন ঘোর শত্রুতাকে কাঁচকলা দেখিয়ে আজকে আমরা আগুনকে জ্বালিয়ে রাখবো পানির নিচেও।

যা যা লাগবে—

১। মোমবাতি

২। কাঁচের বাটি

৩। পানি

৪। আগুন

যেভাবে করব—

১। কাঁচের বাটির গভীরতার সমান করে মোমবাতিটিকে কেটে নিতে হবে।

২। মোমবাতিতে আগুন জ্বালিয়ে, সেটাকে বাটির ভিতরে গলিত মোম ফিয়ে আঁটকে দিতে হবে।

৩। এবার মোমবাতিটি নিভিয়ে দিতে হবে।

৪। এরপরে বাটিটিকে পানি দিয়ে ভরে দিতে হবে। একদম মোমবাতির মুখের প্রান্ত স্পর্শ পর্যন্ত পানি থাকবে।

৫। মোমবাতিটি এখন জ্বালিয়ে দেওয়া যায়।  মোমবাতিটি জ্বলতে থাকবে এ সময়টা অপেক্ষা করতে হবে।

৬। কিছুক্ষণ পরে দেখা যাবে, মোমবাতির শিখা পানির বেশ ভিতরে চলে গিয়েছে তাও দিব্যি জ্বলছে। কাচের বাটির মধ্য দিয়ে এটা খুব ভালো করে বোঝা যাবে।

৭। পানির ভিতরে অনেক দূর পর্যন্ত জ্বলার পরে মোমটি নিভে যাবে। তখন পানিতে আঙ্গুল ডুবিয়ে দেখে নেওয়া যাবে পানির নিচেও কতদূর মোমটি জ্বলেছে।

কেন এটি হলো—

হাতে কলমে এই পরীক্ষাটা করলে বুঝতে একটুও কষ্ট হবে না যে কেন এমন হলো। কারণ পরীক্ষার সময়ই দেখা যাবে যে মোমবাতির শিখা যখন নিচের দিকে নেমেও যাচ্ছে তখনও শিখাকে ঘিরে মোমের একটা দেওয়াল রয়েছে। গরম গলিত মোম যখন পানির স্পর্শে আসে তখন সেটা আবার জমে যায় আর একটা সুরক্ষিত দেওয়ালের মধ্য দিয়ে ভিতরের শিখাটি জ্বলে। পানি ঐ শিখার ধারেও আসতে পারে না। তবে পানি মোমকে ঠাণ্ডা কোরতে কোরতে এক সময় মোমের সমানই গরম হয়ে যায় তখন গলিত মোমকে আর ঠাণ্ডা করে কঠিন বানাতে পারে না। সেই পর্যায়ে এসে মোমের দেওয়ালটি ভেঙ্গে যায় আর পানি ঢুকে শিখা নিভে যায়।