জুতো পরিষ্কার করি নিজে

এমন ধুলো ময়লার এ মৌসুমে সব কিছু কী সহজেই কিছু নোংরা হয়ে যায়। এর মধ্যে আবার প্রায় দিনই বৃষ্টি হয়, তখন প্যাচপ্যাচা কাদায় আর কিছু না হোক জুতোর তো বারোটা বাজবেই বাজবে। রোজ রোজ জামা ধোয়ার মতো তো আর জুতো ধোয়া যায় না। তবে যেদিন জুতো ধোয়া হবে সেদিন এমন ভালোভাবে ধুতে হবে যেন সেটা অনেকদিন চকচকে থাকে।

মাকসুদা আজীজবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 4 April 2017, 08:03 AM
Updated : 4 April 2017, 09:08 AM

জুতো ধোয়ার জন্য আমরা বেছে নিতে পারি একটা ছুটির দিন অথবা যে কোনো একটা দিন স্কুল শেষেই এই জরুরী কাজটা করতে ফেলে যায়। জুতো ধোয়া অন্য যে কোনো জিনিস ধোয়ার চেয়ে একটু কঠিন কারণ এইখানে অনেকগুলো আলাদা আলাদা জিনিস ধুতে হয়। তবে একবার শিখে নিলে কোনো কিছুই তেমন কঠিন মনে হয় না।

জুতো ধোয়ার জন্য একটা ব্রাশ খুব জরুরী এটা কাপড় ধোওয়ার সাধারণ ব্রাশের চেয়ে দাঁত মাজার পুরাতন ব্রাশ হলে সুবিধা বেশি হয়। এর কারণ হলো জুতোর কিছু ছট সরু অংশ থাকে যাতে কাপড় ধোয়ার সাধারণ ব্রাশ ঢুকতে পারে না কিন্তু দাঁত মাজার ব্রাশ সহজেই ঢুকে যায়।

জুতো দোয়ার জন্য আমরা কাপড় ধোয়ার গুঁড়ো সাবান বা লিকুইড ডিটারজেন্ট যে কোনটাই ব্যাবহার করতে পারি। তবে লক্ষ্য রাখতে হবে যেন দুটোই পানিতে ভালোভাবে গুলিয়ে নেওয়া হয়।

যেভাবে করব—

১। প্রথমেই জুতোর ফিতা দুটো খুলে নিবো। ফিতা এবং জুতো আলাদা আলাদা করে ধুতে হয়।

২। প্রথমে ফিতা ধোয়া যেতে পারে। সে ক্ষেত্রে ফিতাকে আগে সাবান পানিতে ভিজিয়ে রাখতে হবে। যখন ময়লাটা আলগা হয়ে আসবে তখন দাঁত মাজার পুরাতন ব্রাশ দিয়ে আচ্ছা মতো ঘষে ময়লা পরিষ্কার করে নিব। এরপর সেটা পানিতে ঢুবিয়ে সাবান ছাড়িয়ে নিলেই চকচকে হয়ে যাবে।

৩। এখন জুতোর মূল অংশ পরিষ্কারের পালা। জুতোর মূল অংশ পরিষ্কার করতে হলে সেটাকে কয়েক অংশে পরিষ্কার করব। সবার আগে জুতোর ভিতর থেকে সুকতলা খুলে এনে সেটাকে সাবান পানি দিয়ে ভিজিয়ে রাখব। কিছুক্ষণ ভিজলে ব্রাশ দিয়ে ঘষে ময়লা উঠানো যাবে।

৪। সুকতলা ধোয়া হলে জুতোর নিচের রাবার অংশ পরিষ্কার করা যেতে পারে। এই অংশেই কাদা ময়লা বেশি লাগে। প্রথমে কাদা ময়লা ধুয়ে তারপর এই অংশেও সাবান পানি দিয়ে ব্রাশ ঘষে নিবো।

৫। সর্বশেষ আসে জুতোর মূল অংশ ধোয়ার পালা। এটিকে রাবারের অংশ পরিষ্কারের সময়ই সাবান পানিতে ভিজিয়ে রাখা যায়। এরপর খুব করে ঘষে, কিনারা এবং সরু জায়গায় পরিষ্কার করে নিবো।

৬। সব অংশ ঘষে পরিষ্কার করা হয়ে গেলে সব অংশকে অনেক পানিতে ভালো করে ধুয়ে নিবো। কীভাবে বুঝবো পুরো পরিষ্কার হয়েছে? পানি দিয়ে ধুতে ধুতে এক সময় দেখা যাবে পানি আর ঘোলা হচ্ছে না। যেমন পানি তেমনই থাকছে। তখন বুঝতে হবে যে পরিষ্কার ঠিক মতো হয়েছে।

৭। সব অংশ এখন আলাদা আলাদা করে শুকিয়ে নিতে হবে। শুকিয়ে গেলে সুকতলা, ফিতা জায়গা মতো লাগিয়ে দিবো।

হয়ে গেলো আমাদের জুতো ঝকঝকে পরিষ্কার। খুব একটা কঠিন কাজ নয় কী বলো? আমরা তাহলে এখন থেকে নিজে নিজেই নিজেদের জুতোটা পরিষ্কার রাখতে পারব।