কিন্তু এ জাদুটা কীভাবে করলে এটাই জানতে চাও তো? ঠিক আছে বলছি, ঝটপট লিখে নাও এই ম্যাজিকটা করতে আমাদের কী কী লাগবে—
১। ছোট একটা কাঁচের গ্লাস
২। কিছু ভাত
৩। পানি
৪। খাবার সোডা
৫। ভিনেগার
যেভাবে করতে হবে—
১। প্রথমে গ্লাসে পানি নিতে হবে। তবে এটা কোনো সাধারণ পানি হবে না। এই পানিতে এক চা চামচ ভিনেগার মিশিয়ে রাখতে হবে।
২। এখন পানির মধ্যে ভাত ছেড়ে দিতে হবে। ভাতের ঘনত্বও পানির ঘনত্বের চেয়ে বেশি তাই ভাত সহজেই পানিতে ডুবে যাবে।
৩। এরপর হবে আসল জাদু। মুখে জোরে জোরে মন্ত্র আউড়াতে আউড়াতে যে কাজটা করতে হবে তা হলো সবার মনযোগ মন্ত্রের দিকে নিতে হবে। আর সবার চোখের আড়ালে পানির মধ্যে এক চিমটি খাবার সোডা দিয়ে দিতে হবে।
৪। এতেই দেখা যাবে ভাতগুলো পানিতে নাচানাচি শুরু করেছে। তা তা থৈ থৈ করতে করতে একবার উপরে একবার নিচে যাচ্ছে।
হলো তো ম্যাজিক দেখানো। কিন্তু জাদুটা হলো কীভাবে এটা তো জানতে হবে তাই না? আসলে এইখানে কোনো ম্যাজিক-ট্যাজিকের কোনো বিষয়ই নেই। আসল বিষয় হলো এখানে গোপনে গোপনে একটা রাসায়নিক বিক্রিয়া হয়েছে। পানিতে থাকা ভিনেগারের সঙ্গে খাবারের সোডা মিশ্রণের ফলে কার্বন ডাই অক্সাইড তৈরি হয়েছে। এই কার্বন ডাই অক্সাইডের অণু যখন উপরের দিকে গিয়েছে তখন ভাতগুলোকেও উপরে ঠেলে নিয়ে গেছে। আবার কার্বন ডাই অক্সাইড যখন বাতাসে বের হয়ে গিয়েছে তখন ভাতটি নিচে নেমে এসেছে। খুব দ্রুত ঘটনাটা ঘটায় মনে হয় যেন ভাতগুলো নাচানাচি করছে।
আমরা যদি ভাতগুলোতে ফুড কালার মিশিয়ে ভাতগুলোকে রঙিন করে দেই তাহলে এই ম্যাজিক দেখতে আরও মজা লাগবে। তোমরা যদি বড় গ্লাস নাও তাহলে সেই গ্লাসের আয়তনের অনুসারে ভিনেগার ও সোডার পরিমাণও বাড়াতে হবে।