চাঁদ দেখার রাত

এ বছর থেকে প্রতি বছর অক্টোবরের ৮ তারিখকে চাঁদ দেখার রাত হিসেবে পালন করা হবে।

মাকসুদা আজীজবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 8 Oct 2016, 09:01 AM
Updated : 8 Oct 2016, 09:01 AM

আমরাই প্রায়ই বল আজ এই দিবস আজ সেই দিবস। তবে অক্টোবর মাসের ৮ তারিখকে পালন করা হয় চাঁদ দেখার রাত হিসেবে। চাইলেও সেটাকে দিবস বলা যায় না। কারণ, দিনে সূর্যের আলোতে চাঁদকে আর দেখা যায় কই?

কেন এই রাত পালন?

মহাকাশে চাঁদ হল পৃথিবীর একমাত্র প্রকৃতিক উপগ্রহ এবং সবচেয়ে নিকটতম প্রতিবেশী। এমন প্রতিবেশী যে কি-না পৃথিবীকে খুবই পছন্দ করে এবং দিন রাত পৃথিবীর চারিদিকেই ঘুরতে থাকে। এখন এত কাছের একজন মানুষকে যেমন আমরা না জেনে থাকতে পারি না, চাঁদের সম্পর্কেও কি না জেনে থাকা উচিৎ বলো?

চাঁদ সম্পর্কে পৃথিবীর মানুষ সঠিক এবং বৈজ্ঞানিক তথ্য জানতে পারে সেই উদ্দেশ্যে দুনিয়া জোড়া বিজ্ঞানী, মহাকাশ বিশেষজ্ঞ, নীতি নির্ধারকরা চিন্তা ভাবনা করে ঠিক করলেন, “আচ্ছা তাহলে বরং সবাই মিলে এমন একটা রাত পালন করা যাক যেদিন পৃথিবীর সব মানুষ চাঁদের কথা ভাববে।”

যেই ভাবা সেই কাজ গত বছর কয়েকটি মহাকাশ নিয়ে কাজ করে এমন সংস্থা মিলে ঠিক করলো তাহলে এমন একটা দিন তৈরি করেই ফেলা যাক। অবশেষে আজকের দিনটি মানে ৮ই অক্টোবরকে বেছে নেওয়া হল এই মজার কিন্তু জরুরী কাজটা করার জন্য।

চাঁদের জন্ম রহস্য

যদিও চাঁদের বয়স চার বা সাড়ে চার বিলিয়ন বছর তবুও চাঁদের জন্ম আজও এক ভীষণ রহস্য। চাঁদের জন্ম নিয়ে নানান মত প্রচলিত আছে। যেমন, একদম সাম্প্রতিক গবেষকরা বলছেন, মঙ্গল গ্রহের সমান আরেকটি গ্রহ এবং পৃথিবীর মধ্যে সংঘর্ষের ফলে চাঁদের জন্ম হয়েছিল।

চাঁদ যদিও পৃথিবীর উপগ্রহ এবং আকারেও পৃথিবীর থেকে ছোট, তাই বলে তাঁর কাজ খুব ছোট না। চাঁদ আছে বলেই পৃথিবীতে প্রাণের সঞ্চার ঘটেছে; এমনই বলেন বিজ্ঞানীরা। চাঁদ যদি না থাকতো তবে প্ররতিহিবীর অক্ষের ঢালটা কিছুটা অমসৃণ হতো, জোয়ার-ভাটা খুব কম হতো, রাতগুলো আরও অনেক অন্ধকারাচ্ছন্ন হতো, আর সূর্য বা চন্দ্র কোনো গ্রহণই হতো না।

চাঁদকে নিয়ে কল্পনা যত

পৃথিবীর ইতিহাস যতদিনের চাঁদকে নিয়ে মানুষের কল্পনাও ততদিনের। সব মানুষ নিজ নিজ অবস্থান থেকে চাঁদকে বোঝার এবং ব্যাখ্যা করার প্রয়াস চালিয়েছেন। চাঁদের ভিন্ন ভিন্ন অবস্থানকে ভিত্তি করে নানান আচর পালন বলতে গেলে সব জাতি, বর্ণ ভাষার মানুষের মধ্যে আছে। চাঁদের বিশেষ বিশেষ অবস্থানকে সূর্যগ্রহণ, চন্দ্রগ্রহণ, ব্লু মুন, সুপার মুন, মাইক্রো ফুল মুন, ব্ল্যাক মুন ইত্যাদি নাম দিয়ে অভিহিত করা হয়। আর এইসব দিনগুলো ঘটা করে পালনও করা হয়।

রাতটা কীভাবে পালন করা যায়?

কোনো একটা উপলক্ষ পালন করার সবচেয়ে ভালো উপায় হচ্ছে, উপলক্ষটা সম্পর্কে ভালো করে জানা। এটা আমারা ইতিমধ্যে করেই ফেলেছি। তাহলে এখন আমরা নিজেদের মধ্যে এ নিয়ে আলাপ আলোচনা করতে পারি। আলাপ করলে আমরা একে অন্যের থেকে নতুন তথ্য পেতে পারি যা আমরা আগে কখনও শুনিনি।

আবার এসব দিবসে বিভিন্ন সংগঠন বিভিন্ন অনুষ্ঠান আয়োজন করে। তাদের সাথে জুড়ে গেলেও মন্দ হয় না।

তবে যেভাবেই উপলক্ষ উৎযাপন করি না কেন। একবার চাঁদের দিকে তাকিয়ে ধন্যবাদ জানাতে ভোলা যাবে না। কারণ চাঁদ শুধু আমাদের নিকটতম প্রতিবেশীই নয় আমাদের উপকারী বন্ধুও।