কিকি’স ডেলিভারি সার্ভিস

মেয়েটির নাম কিকি। তোমাদের থেকে অল্প বড়। মাত্র তের বছর বয়স। তবে কিকি কিন্তু একটা অনন্য শক্তিরও অধিকারী। কিকি একজন জাদুকর। সে যে তোমরা মিছেমিছি ফাঁকি দাওয়ার জাদু দেখাও সে জাদু নয় কিন্তু। একদম সত্যিকারী জাদু। যে জাদু জানলে কাউকে উইচ বলা যায়।

>>অগ্নিলা রহমানবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 4 Nov 2015, 10:10 AM
Updated : 5 Oct 2016, 07:56 PM

উইচ হওয়া কাজটা অবশ্য এত সহজও নয় যে কেউ চাইলেই হয়ে যাবে। তাই কিকিকে একটা নতুন শহরে আসতে হয়। এই শহরে কিকিকে উইচ হওয়ার ঠিক ঠাক ট্রেইনিং নিতে হবে। কিন্তু সমস্যা মোটেই এখানে শেষ নয় বরং শুরু। এখানে কিকিকে থাকার জায়গা লাগবে সঙ্গে অন্য সবও। আর এগুলো নিজেই খুঁজে নিতে হবে। বেচারা কিকি! এই দুঃখের সময় একমাত্র সাথী জিজিকে নিয়ে ঝাড়ুতে চরে কিকি চলে আসে বন্দর নগরী কওরিকোতে। ওহ জিজির সম্পর্কে তো বলিই নাই। জিজি হল কিকির বিড়াল। কিকি যেহেতু জাদুকর ওর বিড়ালও যেই যেই বিড়াল নয়। জিজি কথা বলা কালো একটি বিড়াল।

কিকির এইসব উড়াউড়ি বিষয়ক বিরাট ভক্ত হচ্ছে টম্বো। সে নিজেও উড়ার বিষয়ে খুব আগ্রহী। টম্বো কিকিকে বুদ্ধি দেয় সে যেন তার এই আকাশে উড়ার ক্ষমতা ব্যবহার করে কোনো কাজ জুটিয়ে নেয়। পরিকল্পনাটা ভালোই ছিলো কারণ কিকি সত্যিই একটা ডেলিভারির কাজ পেয়ে যায়। আর জাহড়ুতে করে উড়ে উড়ে কাজ করে ফেলা তার জন্য কোনো কাজই না। তবে একটা কাজ বলতে যত সহজ হয় করা কিন্তু তত সহজ নয়। এই যেমন কিকি একবার একটা কালো বিড়াল খেলনা ডেলিভারি দিতে গিয়ে বাতাসের ঝাপটায় গোত্তা খেয়ে খেলনাটা হারিয়েই গেল। এখন ঠিকঠাক সময়ে ডেলিভারি দেওয়ার একটাই উপায়। জিজিকে খেলনা সাজিয়ে ডেলিভারি দিতে হবে।
জিজিকে কোনোরকমে খেলনা সাজিয়ে রেখে কিকি গেল আসল খেলনা খোঁজ করতে। খোঁজ করে দেখা গেলে খেলনাটা পড়েছে একটা কাঠমিস্ত্রির বাসায়। তার নাম উরসিলা। ও কিকির সেই কালো বিড়াল খেলনাটা উরসিলা ঠিকঠাক করে দেয়। কিকি সেটাকে জিজির সঙ্গে বদলে জিজিকে উদ্ধারও করে আনে।কিন্তু সমস্যা বাধে অন্য জায়গায়। হঠাৎ কিকি খুব অসুস্থ বোধ করতে থাকে। টম্বোর সঙ্গেও কিছু সমস্যা দেখা দেয়। এদিকে আবার সে জিজির কথা বুঝতেও পারে না আস্তে আস্তে তার জাদুর ক্ষমতাও কমে যেতে থাকে।

এরপর কী হয় তা জানতে তোমাদের দেখতে হবে কিকিস ডেলিভারি সার্ভিস অ্যানিমেটেড সিনেমাটি।  এই সিনেমা সম্পর্কে একটা মজার তথ্য তোমাদের দেই এই সিনেমাটি প্রথম মুক্তি পায় ১৯৮৯ সালে। তোমাদের অনেকের জন্মেরও আগে। জাপানে হায়ায়ো মিয়াজাকি নামে একজন প্রবাদতুল্য অ্যানিমেশোন মুভির ডিরেক্টার আছে। এই সিনেমটা তার বানানো একটি অন্যবদ্য কাজ। আর এই সিনেমার গল্পটি লিখেছিলেন এইকো কোডনো। সেও ১৯৮৫ সালে। দারুন জনপ্রিয় সেই উপন্যাসটি পরে আনিমেটেড মুভি আকারে মুক্তি পাওয়ার পরেও বেশ সারা পায়। তবে এই সুন্দর সিনেমটাইর খোঁজ ডিজনি বেশ দেরিতে পায় তাই তো সিনেমাটির ইংলিশ ডাবকৃত ভার্শন মুক্তি পায় ১৯৯৮ সালে।