মহাখালীর ফুটপাত বারোয়ারি পণ্যের বাজার

মহাখালী ফ্লাইওভারের নিচে রেলক্রসিংয়ের দুই পাশে ভিআইপি সড়কের ফুটপাতে জামাকাপড় থেকে শুরু করে ভাত-তরকারি সবই পাওয়া যায়। হকারদের দৌরাত্ম্যে রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ এই মোড়ের ফুটপাত পরিণত হয়েছে বারোয়ারি পণ্যের বাজারে।

হাসিবা আলী বর্ণাবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 9 July 2015, 05:42 AM
Updated : 30 Nov 2018, 08:58 PM

বছরে দুই-একবার উচ্ছেদ অভিযানের কারণে ফুটপাতের চেহারা দেখা গেলেও বাকি সময়টা ওই এলাকার ফুটপাত দখল করে দিব্যি ব্যবসা করে যাচ্ছে শতাধিক ভাসমান দোকান। কোথাও কোথাও ফুটপাত ছাড়িয়ে হকাররা রাস্তাতেও ভাগ বসিয়েছেন। 

চা-সিগারেটের দোকানের পাশাপাশি, ভাতের হোটেল, ফলের দোকান, জামাকাপড়সহ সুঁইসূতার দোকান পর্যন্ত রয়েছে এই ফুটপাতে। কোথাও আবার রিক্সাভ্যানে মাইক লাগিয়ে উচ্চশব্দে ক্রেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা চলছে।

রোজার মাস হওয়ায় বাড়তি যোগ হয়েছে শরবত ও ইফতার সামগ্রী বিক্রির দোকান। আতমলী ও রেলক্রসিংয়ের কাছেই আবার রাস্তার পাশে ফেলে রাখা হয়েছে নির্মাণ সামগ্রী। সেখানে ফুটপাতের অস্তিত্বই নেই।

অফিস শুরু ও ছুটির সময় যানবাহনের ভিড়ের সঙ্গে এই সড়কে লোক চলাচলও বাড়ে। গাড়ি ধরার জন্য অসহায় মানুষকে রীতিমত কসরত করতে হয়। কিন্তু ফুটপাত ব্যবহার করতে না পারায় লোকজন রাস্তা দিয়ে চলাচলে বাধ্য হয় বলে যানবাহনের জটলা লেগে যায়।

আবার সামান্য বৃষ্টি হলেই রেলক্রসিংয়ের কাছে সড়কে পানি জমে থাকে। তারই মধ্যে বাস, লেগুনা থামিয়ে যাত্রী নামানো হয়। ফুটপাত ব্যবহারের মতো অবস্থা না থাকায় যান চলাচলের মধ্যেই প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হয় পথচারীদের।

রেলক্রসিংয়ের নিচে চা দোকানী মো. দুলাল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, তার দোকানের পাশে আরও কয়েকটি চায়ের দোকান রাত-দিন খোলা থাকে। বিক্রিও ভাল।

“লোকজন বইসা চা–বিড়ি খাইতে চায়, তাই দুই একটা বেঞ্চি পাইতা দিতে হয়। রোজা শুরু হওয়ার পরে ইফতারির জিনিস, ছোলা, মুড়ি, বেগুনির দোকানও চালু হইছে।”

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে অসহায়ত্ব প্রকাশ করেন মহাখালী পুলিশ বক্সের উপ-পরিদর্শক মধুসূদন মজুমদার।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “কিছুদিন পরপরই দোকান বসে। গত সপ্তাহেও পুলিশ বক্সের সামনের ফুটপাত থেকে দোকান তুলে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু আবার হকাররা দোকান খুলে বসেছে।”