ঢাকার গুলশানের এই পাঁচ তারকা হোটেলে আসা অতিথিদের গাড়ি হোটেলের পার্কিং এলাকা থেকে ওই র্যাম্প হয়ে প্রধান ফটকে যাচ্ছে। ফুটপাতে এভাবে যানবাহন চলাচল করায় ব্যাহত হচ্ছে পথচারীদের চলাচল।
স্থানীয় বাসিন্দারা এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করলেও হোটেলের পরিচালক ও সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী বলেছেন, তারা বিষয়টি জানেনই না।
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে ওয়েস্টিন হোটেলের সামনের ফুটপাত থেকে কংক্রিট প্লান্টার সরিয়ে দিয়েছিল ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন। কিন্তু এখন আবার সেগুলো দেখা যাচ্ছে।
গুলশানের একটি বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা হাসানুজ্জামান রাজিব অভিযোগ করেন, ওয়েস্টিন কর্তৃপক্ষ হোটেলের তিন দিকের সড়কেই এভাবে পথচারীদের ঝামেলায় ফেলছে।
“৩৬ বা ৪৮ নম্বর সড়ক ধরে গুলশান এভিনিউ পর্যন্ত রিকশায় আসা যায় না। কস্তুরি হোটেলের সামনে তাদের নিরাপত্তাকর্মীরা রিকশা আটকে দেয়। শুকনোর সময় সমস্যা না হলেও বৃষ্টির দিনে এ রাস্তাটুকু আসতে বেশ ঝামেলা হয়।”
রাজিব বলেন, “তারা তাদের অতিথিদের নিরাপত্তা দিক, ঠিক আছে। কিন্তু পথচারীদের পথ আটকে কেন? যেখানে গুলশান-বারিধারা এলাকার সব দূতাবাস তাদের সামনের ফুটপাত ছেড়ে দিয়েছে, সেখানে ওয়েস্টিন হোটেল ফুটপাতের ওপর দিয়ে গাড়ি চালাচ্ছে!”
“সারাটা পথ আসার পর এখানে এসে আর হাঁটার সুযোগ থাকে না। ফুটপাত দিয়ে গাড়ি চলায় বাধ্য হয়ে রাস্তায় নেমে পড়তে হয়। রাস্তায়ও গাড়ি থাকে, ফলে ঝামেলায় পড়তে হয়। ফুটপাত তো হাঁটার জন্য। তারা ফুটপাত দিয়ে গাড়ি চালাবে কেন? তারা কি জনগণের ফুটপাত কিনে নিয়েছে?”
গুলশান সোসাইটির মহাসচিব ওমর সাদাত এ বিষয়ে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের হস্তক্ষেপ চেয়ে বলেন, গুলশান এলাকার ফুটপাত চলাচলের উপযোগী রাখতে উচ্চ আদালতের নির্দেশনা থাকলেও তা মানা হচ্ছে না।
“কোর্টের ওই আদেশের পর ওয়েস্টিন হোটেলের সামনের ফুটপাত খুলে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু পরে তারা আবার তা দখল করেছে। তারা আমাদের নগর জীবনে বিভ্রাটের সৃষ্টি করছে। এ ব্যাপারে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনকে অবশ্যই উদ্যোগ নিতে হবে।”
ফুটপাত দখল করে কেন গাড়ি চালানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে জানতে চাইলে ওয়েস্টিন হোটেলের পরিচালক (ডিরেক্টর, অপারেশন্স) শাখাওয়াত হোসেন বলেন, তিনি এ ব্যাপারে কিছু জানেন না।
তবে এ বিষয়ে ইউনিক গ্রুপের কর্মকর্তাদের বক্তব্য বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম জানতে পারেনি।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী মেসবাহুল ইসলামও দাবি করছেন, ফুটপাতে র্যাম্প বানানোর বিষয়টি তার জানা নেই।
“তারা তাদের সামনের ফুটপাত অনেকদিন বন্ধ করে রেখেছিল। তাদেরকে আমরা সময় দিয়ে দিয়ে শেষে পথচারী চলাচলের জন্য ওপেন করে দিয়েছি। এখন তারা যদি ফুটপাত দখল করে র্যাম্প বানায়, তাহলে আমরা দেখব।”