দুর্ঘটনার ফাঁদ আগারগাঁও লিংক রোড

সরু মসৃণ রাস্তা দেখে বোঝার উপায় নেই সামনে অপেক্ষা করছে অনাকাঙ্ক্ষিত ভোগান্তি। আর তাই যানজট এড়াতে যারা পথটিতে ঢুকে পড়েন খানিক এগোলেই তাদের মনে আসতে বাধ্য- ‘ভুল হয়েছে এ পথে আসা’।

হাসিবা আলী বর্ণাবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 17 August 2015, 05:57 PM
Updated : 26 Jan 2019, 09:19 PM

রাজধানীর বিজয় সরণি থেকে আাগারগাঁওয়ের দিকে যেতে লিংক রোডের বেহালে এমন অভিজ্ঞতা অনেকের।

সোমবার সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের উল্টো দিকে পুরাতন বিমানবন্দরের দেয়াল ঘেঁষা অংশটিতে বড় বড় গর্ত।

মোটরসাইকেল, অটোরিকশা বা বাস যাই হোক না কেন, দুর্ঘটনার আতংক নিয়েই চলাচল করছেন আরোহীরা।

কয়েক মাসে মেরামত করা হলেও বৃষ্টিতে পুরনো রূপে ফিরে গেছে রাস্তাটি। বিটুমিন সরে স্থানে স্থানে উঁকি দিচ্ছে ইট-সুড়কি।

এ রাস্তা ধরে নিয়মিত চলাচলকারী বনানীর একটি বেসরকারি রেডিওতে কর্মরত ঈমন কল্যাণ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, দীর্ঘদিন ধরেই সড়কটির বেহাল দশা। স্বাভাবিক গতিতে স্বস্তি নিয়ে মোটরসাইকেল চালিয়ে যাওয়ারও উপায় নেই।

“রাতে বাড়ি ফেরার সময় অন্ধকারে রাস্তার কোথায় গর্ত তা বুঝে ওঠার আগেই দুর্ঘটনা ঘটে যাচ্ছে। পুরো বর্ষা জুড়ে এখানে খানা-খন্দ ছিল। তখন প্রতিদিনই এ রাস্তায় দুর্ঘটনায় পড়া গাড়ি আটকে থাকতে দেখা যেত।”

কিছুদিন আগে বালু দিয়ে কোনরকমে গর্ত ভরাট করা হলেও দুর্ঘটনার ঝুকিঁ কাটেনি বলেও জানান তিনি।  

বঙ্গবন্ধু আর্ন্তজাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের সামনে কথা হয় অটোরিকশা চালক আজম হোসেনের সঙ্গে। তিনি জানালেন তার ভোগান্তির অভিজ্ঞতা।

“বৃষ্টি হইলে রাস্তার এসব খানা-খন্দ পানিতে ভরে গেলে বোঝা যায় না কোথায় কতটুকু গর্ত। সিএনজি নিয়ে গর্তের পানিতে উল্টায় পড়ছিলাম। আর সিএনজিও পানি লাইগা বন্ধ হয়ে গেছিল। রাতের বেলা এইখানে লোকজনও কম, কারো সাহায্যও পাই নাই তখন।”

বঙ্গবন্ধু আর্ন্তজাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের সামনে দায়িত্বরত ট্রাফিক পুলিশ মো. রহিমের অনুযোগটা একটু ভিন্ন।

বললেন, “অনেক বড় অফিসারও এই রাস্তা ইউজ করে। আমরা তো শুধু ট্রাফিক কন্ট্রোল করি, রাস্তা তো ঠিক করতে হবে কর্তৃপক্ষের। তারা রাস্তা এমন ভাঙ্গাচোরা রাখলে আমাদেরও ভোগান্তি বাড়ে। অ্যাক্সিডেন্ট ছাড়াও এমনেই জ্যাম বেড়ে যায় গাড়ির স্লো স্পিডের কারণে।”