বুদ্ধিজীবীদের অবস্থান জানিয়ে তাদের ধরিয়ে দেওয়ার কাজ করে দেশীয় দোসররা।
Published : 14 Dec 2024, 11:21 AM
১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর, পাকিস্তানি বাহিনী যখন বুঝতে পারে যে তাদের পরাজয় নিশ্চিত তখন তারা বাঙালি জাতিকে মেধাশূন্য করতে দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তানদের নৃশংসভাবে হত্যা করে।
এই দিনটি প্রতিবছর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করা হয়, কারণ এদিন জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানরা নিজেদের জীবন দিয়ে দেশের জন্য ত্যাগ স্বীকার করেন।
পূর্ব পাকিস্তানের বুদ্ধিজীবীরা পশ্চিম পাকিস্তানের অত্যাচারের বিরুদ্ধে বারবার প্রতিবাদ করায় তারা ছিল শাসকদের চোখে অপ্রিয়।
মূলত ২৫ মার্চের কালরাত থেকে শুরু করে মুক্তিযুদ্ধের পুরো সময়জুড়ে বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করা হয়, তবে বিজয়ের কাছাকাছি এসে এ হত্যাকাণ্ড আরও তীব্র হয়ে ওঠে।
পাকিস্তানি বাহিনী পরিকল্পনা করে দেশের শীর্ষস্থানীয় শিক্ষাবিদ, চিকিৎসক, সাহিত্যিক, সাংবাদিকসহ অনেক গুণী মানুষকে তাদের বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে হত্যা করেছিল।
বুদ্ধিজীবীদের অবস্থান জানিয়ে তাদের ধরিয়ে দেওয়ার কাজ করে দেশীয় দোসররা। যারা রাজাকার, আলবদর, আল শামশ ও শান্তি কমিটির সদস্য ছিল।
হাত পা বেঁধে ও চোখে কালো কাপড় পেঁচিয়ে বুদ্ধিজীবীদের বিভিন্ন বধ্যভূমিতে নিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। পরে তাদের ক্ষতবিক্ষত লাশ পাওয়া যায়। পাকিস্তানি বাহিনী এবং তাদের সহযোদ্ধারা এই লাশগুলো এমনভাবে বিকৃত করে রেখেছিল যে, পরে সেগুলো চেনা কঠিন হয়ে পড়েছিল।
ঢাকার রায়েরবাজার বধ্যভূমি, আলকেদি বধ্যভূমি, কালাপানি বধ্যভূমি, রাইনখোলা বধ্যভূমি, শিয়ালবাড়ি বধ্যভূমি, হরিরামপুর গোরস্তানসহ বেশ কয়েকটি স্থানে কয়েক শতাধিক ক্ষতবিক্ষত মৃতদেহ পাওয়া যায়।
প্রতিবেদকের বয়স: ১৩। জেলা: ঢাকা।