১৫ বছর বয়সে তিনি প্রথম সন্তানের মা হন। এক বছর পরই তার দ্বিতীয় সন্তানের জন্ম হয়।
Published : 14 Nov 2024, 08:35 PM
তার বিয়ে হয়েছিল মাত্র ১৩ বছর বয়সে। বাল্যবিয়ের কষ্ট ও অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে নিজের মেয়েকে তিনি সেই একই পরিণতি থেকে রক্ষা করতে চান।
বলছি ২৫ বছর বয়সী এক নারীর কথা। তিনি রংপুর নগরীর রেলবস্তি এলাকায় বাস করেন।
জানা যায়, ১৫ বছর বয়সে তিনি প্রথম সন্তানের মা হন। এক বছর পরই তার দ্বিতীয় সন্তানের জন্ম হয়।
হ্যালো ডট বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে এই নারী বলছিলেন, "বাবা-মা মনে করতেন ঘরে মেয়ে থাকা মানেই সমস্যা। কখন কী হয় না হয়। তাই তারা আমাকে তাড়াতাড়ি বিয়ে দিয়ে দেয়।"
তার মতে, শুধুমাত্র তার ক্ষেত্রেই নয়, অনেক মেয়েরই বাল্যবিয়ের কারণ বাবা-মায়ের অসচেতনতা।
বাল্যবিয়ের পেছনে শুধু দারিদ্র্য নয় অসেচতনতাও অনেক বড় কারণ উল্লেখ করে তিনি বলেন, "অনেক পরিবারকে দেখা যায় অসচ্ছল হলেও ঋণ করে, সুদের টাকা নিয়ে মেয়েকে বিয়ে দেয়।"
কম বয়সে বিয়ে ও গর্ভধারণের ফলে বর্তমানে নানা ধরনের শারীরিক জটিলতায় ভুগছেন বলেও জানান এই নারী।
তিনি বলেন, "আমার এখন নানা ধরনের সমস্যা। ইতোমধ্যে চিকিৎসার পেছনে এক থেকে দেড় লাখ টাকা ব্যয় হয়েছে।"
নিজের এই কষ্টের জীবন মেয়ের জন্য চান না তিনি।
হ্যালোকে বলছিলেন, "আমার মেয়ের বয়স এখন ১৪। সে পড়াশোনা করছে, করতে থাকুক। ৫-৬ বছরের আগে তাকে বিয়ে দেব না।"
প্রতিবেদকের বয়স: ১৫। জেলা: রংপুর।