স্থানীয়রা জানায় আমরা সঠিক ঠিকানায় এসেছি এবং এটি জমিদার রায় বাহাদুর মহাদেব ঘোষের বাড়ি।
Published : 17 Sep 2024, 07:05 PM
ঘোরাঘুরি করতে আমার খুব ভালো লাগে। আর সঙ্গে যদি আমার প্রিয় বাইসাইকেলটি থাকে তাহলে তো আর কথাই নেই। ফলে আমরা বন্ধুরা মিলে মাঝে মধ্যেই দূরে কোথাও বেড়িয়ে পড়ি।
এবার সাইকেলে চড়ে আমরা ঘুরে এসেছি রায় বাহাদুর জমিদার বাড়ি। বাগেরহাটের কচুয়া উপজেলার রাড়িপাড়া ইউনিয়নের গোয়ালমাঠ গ্রামে অবস্থিত এই বাড়িটিকে প্রাচীন নিদর্শন হিসেবে গণ্য করা হয়।
সেদিন খুব ভোরে রওনা হই আমরা। পথের মধ্যে ভৈরব নদের উপর একটি সেতু পার হতে হয়েছে। সেতু পার হওয়ার সময় সাইকেল থামিয়ে কিছুক্ষণ ভোরের শীতল বাতাস উপভোগ করি। এরপর এক নাগাড়ে কিছুক্ষণ সাইকেল চালিয়ে আমরা আমাদের গন্তব্যে পৌঁছাই।
স্থানীয়রা জানায় আমরা সঠিক ঠিকানায় এসেছি এবং এটি জমিদার রায় বাহাদুর মহাদেব ঘোষের বাড়ি।
দোতলা ভবনের বাড়িটি দেখেই বোঝা যায় এটি অনেক দিনের পুরনো। ভবনের পাশেই লতায-পাতায় ঘেরা ছোট একটি মন্দির দেখতে পাই। আমার মনে হয়েছে একসময় হয়ত বাড়ির সদস্যরা এখানে প্রার্থনা করতেন।
বয়সের ভারে ভবনটি জরাজীর্ণ হলেও এর শৈল্পিক কারুকাজ এখনো মানুষের মন কাড়ে। আমাদেরও মুগ্ধ করেছে।
কিন্তু বর্তমানে অরক্ষিত অবস্থায় পড়ে থাকায় ক্রমশ বাড়িটির সৌন্দর্য বিলীন হচ্ছে। বর্তমানে ভবনটি অবহেলিত অবস্থায় পড়ে আছে।
এক-দেড় ঘণ্টা ওখানে থেকে আমরা বাড়ির উদ্দেশ্যে আবার রওনা হই। পিছনে ফেলে আসি জমিদার বাড়ি ও ভৈরব নদের সৌন্দর্য।
প্রতিবেদকের বয়স: ১৩। জেলা: বাগেরহাট।