শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, তাদের উপর বারবার পলেস্তারা খসে পড়ে।
Published : 11 Nov 2024, 09:47 PM
নীলফামারীর ডোমার উপজেলায় একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবনে ফাটল দেখা দেওয়ায় শিক্ষার্থীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে।
উপজেলার ১নং চিকনমাটি সরকারি বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, ছাদের বিমের পলেস্তারা খসে রড বের হয়ে আছে। সেখানেই চলছে পাঠদান।
জানা যায়, ২০০০ সালে নির্মিত দুইটি পাকা ভবনের প্রথম ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। যেখানে শুধু দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণির ক্লাস নেওয়া হয়।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, তাদের উপর বারবার পলেস্তারা খসে পড়ে। এ কারণে প্রতিটি মুহূর্ত আতঙ্কে কাটাতে হয়। তাই নতুন ভবন নির্মাণের দাবি তাদের।
জয়া রাণী নামে তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ুয়া এক শিক্ষার্থী হ্যালোকে ডট বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে অভিযোগ করে বলে, “আমাদের ক্লাসের অবস্থা খুবই খারাপ। আমরা যখন ক্লাস করি তখন ছাদ থেকে সিমেন্ট, ইটের গুঁড়া আমার গায়ে এবং বইয়ে এসে পড়ে।”
ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে ক্লাস করতে হচ্ছে বলে আতঙ্কে থাকতে হয় বলে জানায় প্রীতি রাণী নামের একই শ্রেণির আরেক শিক্ষার্থী।
হ্যালোকে সে বলে, “ঝুঁকিপূর্ণ শ্রেণিকক্ষে ক্লাস করতে আমাদের ভয় করে। কখন যে দেয়াল ভেঙে পড়ে এই আতঙ্কে থাকি। ছাদের পলেস্তারা ভেঙে ধুলোবালি চোখে, গায়ে ও বইতে পড়ে। কখনো কখনো ইটের টুকরো মাথায় পড়ে। এতে পড়াশোনা করতে খুব সমস্যা হয়।”
দুর্ঘটনা এড়াতে দ্রুত নতুন ভবন নির্মাণের দাবি শিক্ষার্থীদের। তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ুয়া মহিব ইসলাম বলে, “অনেক সময় ভাঙা ছাদ থেকে ধুলা, সিমেন্ট এবং ইট পড়ে। এমনকি ইট পড়ে একজনের মাথা ফেটে গেছে। আমরা খুব ভয়ে ক্লাস করি। তাই আমাদের নতুন ক্লাস প্রয়োজন।”
ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ হলেও বাধ্য হয়ে এখানে পাঠদান করতে হচ্ছে বলে জানান স্কুলের প্রধান শিক্ষক শাহ আলম।
তিনি হ্যালোকে বলেন, “ভবনটিকে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করে নতুন ভবন নির্মাণের জন্য কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ জানিয়েছি।”
এই বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজমুল আলমের সঙ্গে কথা বলে হ্যালো।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ও প্রকৌশলীকে বিদ্যালয়ে পাঠিয়ে পর্যবেক্ষণ করা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, “তারা প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে ভবনটিকে যদি পরিত্যক্ত ঘোষণা করে তাহলে আমরা নতুন ভবন স্থাপনের জন্য মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠাব। এছাড়া প্রকৌশলী যদি মনে করেন ভবন মেরামত করে চালানো সম্ভব সেক্ষেত্রে নতুন ভবন নির্মাণ না হওয়া পর্যন্ত মেরামত করে শ্রেণি কার্যক্রম চালানো হবে।”
প্রতিবেদকের বয়স: ১৪। জেলা: নীলফামারী।