তবে ইন্দুবালার এই হোটেলে মানুষ কেবল খেতে নয় মন খুলে কথা বলতেও আসে।
Published : 10 Jul 2024, 07:44 PM
কিছু দিন আগে আমার এক আঙ্কেলের কাছ থেকে ‘ইন্দুবালা ভাতের হোটেল’ নামে একটি উপন্যাস উপহার পাই। বইটি পেয়ে আমি খুব খুশি হই। তারপর এক বসাতেই পুরো উপন্যাসটি পড়ে ফেলি।
২০২০ সালে প্রকাশিত এই উপন্যাসটি লেখক কল্লোল লাহিড়ীর দ্বিতীয় উপন্যাসের বই। যেখানে ফুটে উঠেছে একজন নারীর জীবন সংগ্রাম, সাহস ও আত্মত্যাগের কথা।
উপন্যাসের সে নারীর নাম ইন্দুবালা। ইন্দুবালা নামের শক্তিশালী ও হৃদয়বান এই নারীর জীবন কাহিনীকে কেন্দ্র করে আবর্তিত হয়েছে পুরো গল্প।
ইন্দুবালা বাংলাদেশি মেয়ে। তাকে তার বাবা কলকাতার মতো একটি অপরিচিত শহরে বিয়ে দেন। সেখানে নানা উত্থান পতনের পরেও নিজের চেষ্টায় সব কিছুকে আগলে রাখেন তিনি।
স্বামীর মৃত্যুর পর একাকিত্ব আর দারিদ্র্যের মাঝে তিনি খুঁজে বের করেন জীবনের এক নতুন দিক। চালু করেন একটি ভাতের হোটেল। তিনি রান্নায় ছিলেন বেশ দক্ষ। তার রান্না হোটেলে আগত অতিথিদের মুগ্ধ করত।
তবে ইন্দুবালার এই হোটেলে মানুষ কেবল খেতে নয় মন খুলে কথা বলতেও আসে। তার রান্নার স্বাদে যেমন মুগ্ধ হয়, তেমনি তার মমতাময়ী আচরণে সবাই প্রশান্তি খুঁজে পায়।
হোটেলে খেতে আসা মানুষদের তিনি সন্তানের মতো ভালোবাসেন এবং তাদের সুখ-দুঃখের কথা মন দিয়ে শোনেন। এভাবে করে তার হোটেলটি মানুষের কাছে শান্তি ও ভালোবাসার স্থান হয়ে ওঠে।
এই উপন্যাসটি একজন সংগ্রামী নারীর জীবনের কাহিনী তুলে ধরেছে। এর পাশাপাশি আমাদের সমাজের বিভিন্ন স্তরের বিষয় নিয়েও ভাবতে শেখায়।
প্রতিবেদকের বয়স: ১৬। জেলা: ঢাকা।