Published : 13 Nov 2024, 06:40 PM
হুমায়ূন আহমেদ কেবল একজন লেখক নন, তিনি পাঠকদের কাছে এক আবেগ ও অনুভূতির নাম। ২০১২ সালে তার জীবনাবসান হলেও নিজের সৃষ্টির জন্য আজও তিনি পাঠকের মনে বেঁচে আছেন।
আমি শৈশবে তার লেখা বই ‘বোতল ভূত’ পড়েছিলাম। বইটি পড়লে মনে হত সত্যিকারের ভূত আমার সামনে এসে দাঁড়াবে। এতটা বাস্তব ও শক্তিশালী তার লেখা।
বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তার আরও বেশকিছু বই পড়েছি। এরমধ্যে আছে- হিমু, মিসির আলি, তোমাকে, বৃষ্টি বিলাস ও দিনের শেষে। হুমায়ূন আহমেদের চরিত্রগুলো জীবনের নানা দিক নিয়ে ভাবতে বাধ্য করে। তার বইগুলো আমাকে জীবনের মানে খুঁজতে সাহায্য করেছে এবং সাহিত্যের প্রতি আগ্রহী করেছে।
হুমায়ূন আহমেদের গল্পগুলোতে বৈচিত্র্য রয়েছে। তার কিছু গল্প হাস্যরসে ভরপুর, আবার কিছু গল্প দুঃখ ও জীবনসংগ্রামের কথা বলে। আমার ধারণা, এই বৈচিত্র্যের কারণে তার বইগুলো সব ধরনের পাঠকের কাছে সমানভাবে প্রিয়।
এখনো প্রতিবছর বইমেলায় তার বই কিনতে ভিড় দেখা যায়। এই দৃশ্য দেখতে ভালোই লাগে। একজন লেখক নেই, তার নতুন কোনো বই আসে না। কিন্তু তার পাঠকের অভাব নেই।
অন্য লেখকদেরও অনেক ভালো বই রয়েছে, তবে হুমায়ূন আহমেদের বইগুলো আমার কাছে বিশেষভাবে অনুপ্রেরণাদায়ক। তার বইগুলো আমাকে ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে ভাবতে শিখিয়েছে। শুধু আমি নই, আমার বন্ধু-বান্ধব ও পরিচিতদের মধ্যে অনেককেই আছে যারা হুমায়ূন আহমেদকে ভীষণ ভালোবাসেন।
প্রতিবেদকের বয়স: ১৬। জেলা: ঢাকা।