ছেলেদের কাছে মেয়েদেরকে দুর্বল শ্রেণির মানুষ হিসেবে উপস্থাপন করা হয়। আবার মেয়েদের কাছেও ছেলেদের তুলে ধরা হয় বিপজ্জনক হিসেবে।
Published : 11 Nov 2024, 09:08 PM
আমরা অনেকে মনে করি পরিবর্তনের এই যুগে নানা ক্ষেত্রে মানুষের দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন হয়েছে। তারা এখন প্রতিটি বিষয়কে নানা ভাবে ভাবতে পারে। তবে এই ধারণাটা কি আসলেই সঠিক?
আমার তেমন মনে হয় না। সত্যি বলতে আমি এখনো অনেক অসঙ্গতি দেখতে পাই। আমি দেখছি শ্রেণিকক্ষে বা রাস্তায় দুইজন ছেলে-মেয়ে একসঙ্গে কথা বললে সমাজ এটাকে বাঁকা চোখে দেখে। তারা মনে করে, ছেলে মেয়ের মধ্যে কোনো বন্ধুত্ব হতে পারে না। সমাজের এই দৃষ্টিভঙ্গির কারণে অনেকের কাছে বন্ধুত্বের সংজ্ঞাও বদলে যায়।
আমার কাছে শৈশব-কৈশোর হলো বন্ধুরা একসঙ্গে বসে গল্প-গুজবে মেতে ওঠা কিংবা টিফিনের সময়ে ভাগাভাগি করে খাওয়ার মতো মুহূর্ত। অথচ এই সময়ে শিশু-কিশোরদের ভাবতে বাধ্য করা হয় ছেলে-মেয়ের মধ্যে অনেক তফাৎ রয়েছে।
ছেলেদের কাছে মেয়েদেরকে দুর্বল শ্রেণির মানুষ হিসেবে উপস্থাপন করা হয়। আবার মেয়েদের কাছেও ছেলেদের তুলে ধরা হয় বিপজ্জনক হিসেবে।
আমি মনে করি, বন্ধুত্বের সীমানা শুধুমাত্র মানুষের প্রকৃতি বা মনুষ্যত্বের ভিত্তিতে হওয়া উচিত। একজন মানুষের মানবিক গুণাবলি যেমন শ্রদ্ধা, ভালোবাসা, সহানুভূতি- এগুলো হতে হবে বন্ধুত্বের মূল ভিত্তি। বন্ধুত্ব করতে কোনো লিঙ্গ, বয়স, ধর্ম বা সামাজিক অবস্থান বিবেচনা করা খুবই অযৌক্তিক।
প্রতিবেদকের বয়স: ১৩। জেলা: ঢাকা।