এই ইমামের মতে, কোনো সচেতন ইমাম বাল্যবিয়ের সঙ্গে জড়িত থাকতে পারেন না। তারা বাল্যবিয়ে পড়াতে অস্বীকৃতি জানালে কিছু অভিভাবকেরা অন্য কোনো কম পরিচিত ও অসচেতন ইমামকে দিয়ে বাল্যবিয়ে পড়িয়ে ফেলেন।
Published : 18 Jul 2024, 05:50 PM
বিয়ের শিকার কিশোরী গর্ভধারণ করলে সে ও তার সন্তান অপুষ্টিতে ভোগে। যা শিশু নির্যাতন বলে মনে করেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরের মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের ইমাম মুখতার আলী।
হ্যালো ডট বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এই ইমাম আরও বলেন, “আমি ইউনিসেফের অনেক প্রোগ্রামে অংশ নিয়ে জানতে পেরেছি, বাল্যবিয়ের শিকার কিশোরীকে শারীরিক ও মানসিক নানা জটিলতার মধ্য দিয়ে যেতে হয়।”
এই ইমামের মতে, কোনো সচেতন ইমাম বাল্যবিয়ের সঙ্গে জড়িত থাকতে পারেন না। তারা বাল্যবিয়ে পড়াতে অস্বীকৃতি জানালে কিছু অভিভাবকেরা অন্য কোনো কম পরিচিত ও অসচেতন ইমামকে দিয়ে বাল্যবিয়ে পড়িয়ে ফেলেন। এতে করে তাদের কিছু করার থাকে না।
তিনি বলেন, “কাজীর দায়িত্ব বিয়ে রেজিস্ট্রি করানো। ১৮ বছরের কম কারো বিয়ে কাজীরা রেজিস্টার করতে পারেন না। যে বাল্যবিয়েগুলো হয় সেগুলো কোনো না কোনো ইমাম পড়িয়ে ফেলেন।”
বাল্যবিয়ে বন্ধে জুমার খুতবায় আলোচনা করে মানুষকে সচেতন করার চেষ্টা করেন বলেও জানান তিনি। তার মতে, একমাত্র সচেতনতাই পারে বাল্যবিয়েকে বন্ধ করতে পারে।
প্রতিবেদকের বয়স: ১৩। জেলা: চাঁপাইনবাবগঞ্জ।