কিন্তু এই আনন্দময় দিনগুলোর মাঝে নিয়তি বাদ সাধে। গাজীপুর থেকে ঢাকায় চলে আসার সিদ্ধান্ত নেয় আমার পরিবার।
Published : 13 Jul 2024, 07:59 PM
করোনাভাইরাস মহামারী প্রকোপ তখনো কাটেনি। ২০২১ সালের কথা। মাইস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের গাজীপুর শাখায় সপ্তম শ্রেণিতে ভর্তি হলাম।
প্রথম দিন শ্রেণি শিক্ষক স্কুলের সবগুলো ক্লাসরুম ঘুরিয়ে দেখালেন। আমি তখনো বুঝিনি এই ক্লাসগুলোতে অনেক আনন্দময় মুহূর্ত আমার জন্য অপেক্ষা করছে।
মহামারীর কারণে অনলাইনে আমাদের ক্লাস শুরু হয়। কয়েক মাস অনলাইন ক্লাস করতে করতেই অনেকের সঙ্গে বন্ধুত্ব গড়ে উঠে।
এক সময় স্কুল খুলে যায়। আমরা সরাসরি ক্লাস করতে শুরু করি। পড়াশোনার পাশাপাশি বন্ধুদের সঙ্গে অনেক ভালো সময় কাটতে থাকে।
ক্লাসে পেছনের বেঞ্চে বসে বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা, ক্লাসে শিক্ষক আসার আগে ডায়রিকে ব্যাট বানিয়ে কাগজের বল দিয়ে ক্রিকেট খেলা আর টিফিনের সময়ে দল বেঁধে টিফিন কিনতে যাওয়া এসব করেই দিন কাটতে থাকে আমাদের।
কিন্তু এই আনন্দময় দিনগুলোর মাঝে নিয়তি বাদ সাধে। গাজীপুর থেকে ঢাকায় চলে আসার সিদ্ধান্ত নেয় আমার পরিবার। এই সিদ্ধান্তটি আমার জন্য খুব বেদনাদায়ক ছিল।
ঢাকায় যাওয়ার সময় ঘনিয়ে আসায় ২০২৩ সালের ১ জানুয়ারি প্রত্যয়নপত্র আনার জন্য স্কুলে যাই। আমি ভেবেছিলাম সেদিন বন্ধুরা বই নিতে স্কুলে আসবে কিন্তু সেদিন তারা কেউ আসেনি। পরে শুনেছি তারা পরের দিন আসবে। ফলে সেদিন আর বন্ধুদের সঙ্গে দেখা হয়নি।
তাদের সঙ্গে আমার শেষ দেখাও হয়নি। কিন্তু সেই স্কুলে কাটানো অল্প সময়ের সুখকর স্মৃতি আমি কখনো ভুলব না৷
প্রতিবেদকের বয়স: ১৪। জেলা: ঢাকা।