জাতিসংঘের এই সংস্থাটি তাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত একটি নিবন্ধে লিখেছে, অনলাইনে কেউ রসিকতা করছে নাকি কষ্ট দেওয়ার চেষ্টা করছে কখনো কখনো এটি শনাক্ত করা খুব কঠিন হয়ে পড়ে।
Published : 13 Jul 2024, 05:23 PM
ইন্টারনেটে এখন সব বয়সী মানুষেরই বিচরণ রয়েছে। পড়াশোনা থেকে শুরু করে কেনাকাটা কিংবা বিনোদনের চাহিদা মেটানো- দৈনন্দিন নানা কাজে ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার করছি আমরা।
এসব প্রযুক্তি আমাদের জীবনকে যেমন সহজ করেছে তেমনি এসব মাধ্যম ব্যবহার করে ঘটছে নানা অপরাধ কার্যক্রম। এরমধ্যে অন্যতম একটি হলো সাইবার বুলিং।
ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার করে কাউকে হয়রানি করাই হলো সাইবার বুলিং। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন চ্যাটিং প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে এই অপরাধ ঘটতে পারে। কিন্তু মাঝেমধ্যে কোনটি হয়রানি আর কোনটি রসিকতা তার পার্থক্য বুঝতে হয়ে যায় বিপত্তি। কেননা রসিকতার ছলে ঘটে থাকে অনেক সাইবার বুলিংয়ের ঘটনা।
কোনটি রসিকতা আর কোনটি সাইবার বুলিং- এর পার্থক্য তুলে ধরেছে ইউনিসেফ।
জাতিসংঘের এই সংস্থাটি তাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত একটি নিবন্ধে লিখেছে, অনলাইনে কেউ রসিকতা করছে নাকি কষ্ট দেওয়ার চেষ্টা করছে কখনো কখনো এটি শনাক্ত করা খুব কঠিন হয়ে পড়ে।
তবে কারো কোনো কর্মে আপনি যদি কষ্ট পান বা আপনি যদি মনে করেন অন্যরা আপনাকে নিয়ে হাসাহাসি বা তামাশা করছে, তাহলে বুঝতে হবে রসিকতার মাত্রা ছাড়িয়ে গেছে। থামতে বলার পরেও যদি কেউ তার রসিকতা চালিয়ে যায় তাহলে এটি বুলিংয়ের পর্যায়ে পড়ে।
মোট কথা কোনো রসিকতা যখন সহ্য সীমা ছাড়িয়ে যায় তখন এটিকে আর রসিকতা বলে মনে করা যাবে না। এটিকে বুলিং ধরে নিয়ে এর বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়া উচিত বলে উল্লেখ করা হয়েছে ওই নিবন্ধে।
প্রতিবেদকের বয়স: ১৭। জেলা: বাগেরহাট।