শিশুটির মানসিক স্বাস্থ্য ক্ষতিগ্রস্ত হবে কিনা- এটা নিয়ে কেউ তো ভাবছেই না।
Published : 08 Feb 2025, 07:40 PM
কয়েক দিন আগে রাজধানী থেকে ১১ বছরের একটি মেয়ে হারিয়ে যাওয়ার খবর গণমাধ্যমে আসে। যা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক আলোড়ন তৈরি করে।
প্রথমে হারিয়ে যাওয়ার কথা জানা গেলেও পরে শিশুটিকে সুস্থ ও স্বাভাবিক অবস্থায় পাওয়া যায়। তবে তার প্রতি আমরা অনেক বড় অন্যায় করেছি বলে আমার ধারণা।
মেয়েটিকে উদ্ধারের পর জানা যায়, সে স্বেচ্ছায় এক বন্ধুর সঙ্গে ঘুরতে গিয়েছিল। এরপর সামাজিক মাধ্যমে অনেকেই তাকে দোষারোপ করতে শুরু করে। একজন শিশুর যেকোনো আচরণের পেছনে সমাজেরও দায় আছে বলে মনে করি।
শিশুটি নিখোঁজ থাকার সময় যখন অনেকে তাকে খুঁজে পেতে সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট দিচ্ছিল, তখনই কিছু বিরূপ মন্তব্য চোখে পড়ে। কিন্তু যখন জানা গেল সে স্বেচ্ছায় গিয়েছিল, তখন সমালোচনার মাত্রা আরও বেড়ে যায়। মেয়েটি ফিরে আসার পর স্বস্তির পরিবর্তে শুরু হয় মিডিয়া ট্রায়াল ও নেতিবাচক আলোচনা।
অনেকেই নিয়মনীতি অনুসরণ না করেই তার ছবি প্রকাশ করেছে, যা গুরুতর অন্যায়। এর ফলে শিশুটির স্বাভাবিক জীবন ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
শিশুটির মানসিক স্বাস্থ্য ক্ষতিগ্রস্ত হবে কিনা- এটা নিয়ে কেউ তো ভাবছেই না। অতিরিক্ত মানসিক চাপ ও নেতিবাচক এসব মন্তব্য শিশুটির আত্মবিশ্বাস ও আত্মমর্যাদায় আঘাত করতে পারে।
আমরা কি একবারও ভেবে দেখেছি যা আমাদের কাছে হাসি-তামাশার বিষয় তা একজন শিশুর জন্য কতটা ক্ষতিকর হতে পারে? শিশুদের মানসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষিত রাখা আমাদের দায়িত্ব।
আমাদের আরও সংবেদনশীল হওয়া উচিত এবং সামাজিক মাধ্যমেও দায়িত্বশীল আচরণ করা প্রয়োজন বলে মনে করি।
প্রতিবেদকের বয়স: ১৬। জেলা: ঢাকা।