তৃতীয় শ্রেণি পাশ করার পর স্কুল বদল করে অন্য বিদ্যালয়ে ভর্তি হই। এবার আমি অনেকটাই বড় হয়েছি। তাই আগের মতো ভয় বা লজ্জা কিছুই কাজ করেনি।
Published : 14 Jul 2024, 05:00 PM
মনে হয় এই তো সেদিন প্রথম স্কুলে পা রাখি। আম্মু আমাকে ক্লাস রুমে বসিয়ে দিয়ে বললেন, “ভয় পেও না, আমি বাইরে বসে আছি।”
আমি একটি কিন্ডারগার্টেনের প্লেতে ভর্তি হয়েছিলাম। ক্লাসের কাউকেই চিনি না। খুব লজ্জাও পাচ্ছিলাম।
এমন সময়ে চার-পাঁচজন মেয়ে আমার দিকে এগিয়ে এসে আমাকে তাদের সঙ্গে খেলতে বলল। আমি রাজি হয়ে যাই। তাদের সঙ্গে খেলতে শুরু করি।
কিছুক্ষণ পর শিক্ষক ক্লাসে আসেন। আমি স্যারকে দেখে ভয় পেয়ে যাই। স্যার বিষয়টা বুঝতে পারেন এবং আমার সঙ্গে কথা বলেন। আমার নাম কী, আমার বাসা কোথায়, আমি কী খেতে পছন্দ করি এসব বিষয়ে গল্প করে আমার ভয় দূর করে দেন।
তৃতীয় শ্রেণি পাশ করার পর স্কুল বদল করে অন্য বিদ্যালয়ে ভর্তি হই। এবার আমি অনেকটাই বড় হয়েছি। তাই আগের মতো ভয় বা লজ্জা কিছুই কাজ করেনি।
এই স্কুলে এসে আমি খুব দ্রুত অনেক বন্ধু বানিয়ে ফেলি। আর ভালো রেজাল্ট করার কারণে শিক্ষকরাও আমাকে ভালোবাসেন।
আমি এখন অষ্টম শ্রেণিতে পড়ি। এখানে আমার চার বছর কেটে গেল। চার বছরে অনেক স্মৃতি জমে গেছে এখানে। উপরের ক্লাসে উঠাতে মনে হচ্ছে, খুব দ্রুত এই স্কুলকেও বিদায় জানাতে হবে।
আমাদের ছয় ঘণ্টা ব্যাপী ক্লাস হয়। কিন্তু কীভাবে যেন এই সময়টা দ্রুত চলে যায় যেন টেরই পাই না।
আমাদের স্কুল সবুজে ছাওয়া। একদিন এই সবুজ আঙিনাকে বিদায় জানাতে হবে ভাবতেই খারাপ লাগে।
প্রতিবেদকের বয়স: ১৪। জেলা: চাঁপাইনবাবগঞ্জ।