পরীক্ষা দেওয়ার আগে যতটা কঠিন ভেবেছি পরে ততটা কঠিন মনে হয়নি। এই নিয়মে পরীক্ষা দিয়ে আমার অনেক ভালো লাগে।
Published : 16 Jul 2024, 06:40 PM
আমি কুড়িগ্রাম সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে নবম শ্রেণিতে পড়ি। আমরা এবার নতুন শিক্ষাক্রমে নতুন নিয়মে ষান্মাসিক পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছি।
পরীক্ষা শুরু হওয়ার কিছুদিন আগে আমরা জানতে পারি, আমাদের পরীক্ষা হবে পাঁচ ঘণ্টাব্যাপী। এ কথা শুনে আমরা ক্লাসের সবাই অবাক হয়ে যাই। সবাই ভাবতে শুরু করি কী এমন পরীক্ষা হবে যার জন্য পাঁচ ঘণ্টা লাগবে। আমিও ভাবছিলাম এই কথাটি। তারপর পরীক্ষার জন্য ভালো ভাবে প্রস্তুতি নিই।
পরীক্ষার দিন হলে প্রবেশ করার সময় আমার অনেক ভয় লাগছিল। পরীক্ষা শুরুর আগে বসে বসে ভাবছিলাম আজ কেমন পরীক্ষা হবে!
যথাসময়ে শিক্ষক ক্লাসে এসে আমাদের উত্তরপত্র ও প্রশ্ন দেন। এরপর তিনি আমাদের সবগুলো প্রশ্নের উত্তর করার নিয়ম বলে দেন।
প্রথমে একক ভাবে নিজে নিজে কিছু অংশের উত্তর লিখতে হয়েছে। তারপর ছিল জোড়া কাজ, এই অংশে আমি একজন সঙ্গীকে সঙ্গে নিয়ে আলোচনা করে উত্তর তৈরি করি। সবশেষে ছিল দলীয় কাজ। যেখানে আমরা কয়েকজন একসঙ্গে আলোচনা করে প্রশ্নের সমাধান বের করি।
পরীক্ষা দেওয়ার আগে যতটা কঠিন ভেবেছি পরে ততটা কঠিন মনে হয়নি। এই নিয়মে পরীক্ষা দিয়ে আমার অনেক ভালো লাগে।
পরীক্ষার হল থেকে বের হয়ে বন্ধুদের সঙ্গে কথা বলে বুঝলাম এই নিয়মে পরীক্ষা দিয়ে তাদেরও ভালো লেগেছে।
আমার মতে, নতুন শিক্ষাক্রমের মূল্যায়ন পদ্ধতিটি অনেক ভালো। কারণ এতে করে আমরা হাতে কলমে শিখতে পারছি।
প্রতিবেদকের বয়স: ১৩। জেলা: কুড়িগ্রাম।