এরপর বাসায় খুঁজতে শুরু করি কী দিয়ে নিজে নিজে অ্যাকুরিয়াম বানানো যায়।
Published : 12 Feb 2025, 07:16 PM
বছরের শুরুতে পড়াশোনার চাপ কম থাকায় অনেকদিনের অবসর পেয়েছি। কিন্তু স্কুল খোলা থাকায় কোথাও ঘুরতে যাওয়ার সুযোগ পাইনি।
একদিন এক সহপাঠীর সঙ্গে নানা বিষয়ে কথার এক পর্যায়ে অ্যাকুরিয়ামের প্রসঙ্গে আসে। সে বলছিল তাদের বাসায় মাছ সংরক্ষণের এই পাত্রটি আছে।
এরপর তার বাসায় গিয়ে একদিন এটি আমি দেখেও এসেছি। দেখার পর আমার কাছে বেশ ভালো লাগে। যদিও আগে থেকেই ভালো লাগত তবে বন্ধুর অ্যাকুরিয়াম দেখে আমার ভালো লাগা যেন আরও বেড়ে গেল।
মায়ের কাছে ইচ্ছার কথা বলতেই তিনি না করে দিলেন। বললেন, অল্প জায়গায় মাছ আটকে রাখা তার ভালো লাগে না। কিন্তু আমার মনে তীব্র ইচ্ছা জেগেছে অ্যাকুরিয়াম বানানোর। ভাবলাম বাজার থেকে কিনে আনার চেয়ে নিজে কিছু তৈরি করতে পারলে সময়টা আরও সুন্দরভাবে কাটবে।
কয়েকদিন বন্ধুর কাছ থেকে অ্যাকুরিয়াম সম্পর্কে নানা তথ্য সংগ্রহ করলাম। এরপর বাসায় খুঁজতে শুরু করি কী দিয়ে নিজে নিজে অ্যাকুরিয়াম বানানো যায়। খুঁজতে খুঁজতে একটি পানির ফিল্টার খুঁজে পাই যা অ্যাকুরিয়ামের জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে বলে মনে হয়েছে।
ফিল্টারের নিচের অংশটা কাজে লাগানোর পরিকল্পনা করলাম। এরপর কিছু পাথর সংগ্রহ করলাম। টিফিনের টাকা জমিয়ে মাছ কিনে আনলাম। সব মিলিয়ে নিজের মত করে একটা অ্যাকুরিয়াম বানিয়ে ফেললাম!
এখন বিকেলের পুরোটা সময় এই অ্যাকুরিয়ামের যত্ন নিয়ে কেটে যায়। মা আর কিছু বলেন না, কারণ ফোনের পেছনে সময় নষ্ট করি না। সত্যি বলতে আমার সময়টা এখন অনেক ভালো কাটছে। মোবাইল ফোন যেমন আমার অবসরকে গ্রাস করে ফেলত, এখন আর তা হয় না।
অ্যাকুরিয়ামের পানি দুই-তিন দিন পরপর পরিবর্তন করে দিই। আমার ছোট বোনও কাজে সাহায্য করে। এতে করে তার সঙ্গেও সময় কাটানো হয়, খেলাধুলাও হয়ে যায়। আমাদের দুজনের বিকেলটা এখন বেশ আনন্দের সঙ্গে কাটছে। আর সেই আনন্দের কেন্দ্রবিন্দু আমার নিজের হাতে গড়া অ্যাকুরিয়াম।
প্রতিবেদকের বয়স: ১৪। জেলা: বাগেরহাট।