কলকারখানায় নিম্নমানের কয়লা পোড়ানোর ফলে পিএম ২ দশমিক ৫ এবং পিএম ১০ ইত্যাদি কণার সৃষ্টি হয়।
Published : 08 Dec 2024, 08:13 PM
বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা বিশ্বে বায়ুদূষণে শীর্ষে থাকা শহরগুলোর একটি বলে বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে। ফলে বায়ুদূষণ থেকে প্রতিকার পেতে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া উচিত।
বছরখানেক ধরে ঢাকার অদূরে সাভারে বাস করছি। আগে যেখানে থাকতাম সেখানে বায়ুর মান ঢাকার মতো এত খারাপ ছিল না। এখানে আমি যখন বাসা থেকে বের হই কোথাও প্রাণ খুলে শ্বাস নেওয়ার মতো জায়গা পাই না।
কয়েকটি নিবন্ধ পড়ে জানতে পেরেছি ঢাকার বায়ুদূষণের জন্য বিভিন্ন ক্ষতিকর গ্যাস, ধুলাবালি ও বিভিন্ন কণার অতিরিক্ত উপস্থিতি দায়ী। ফলে বোঝাই যাচ্ছে, বায়ুদূষণের পেছনে মানুষের দায় সবচেয়ে বেশি।
কলকারখানায় নিম্নমানের কয়লা পোড়ানোর ফলে পিএম ২ দশমিক ৫ এবং পিএম ১০ ইত্যাদি কণার সৃষ্টি হয়। এটি ঢাকার বায়ুদূষণের জন্য ৫৮ শতাংশ দায়ী বলে।
এমন পরিস্থিতিতে বায়ুদূষণ রোধে কী ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া উচিত সে বিষয়ে ইন্টারনেটে খোঁজার চেষ্টা করেছিলাম।
বিভিন্ন গবেষণা ও প্রতিবেদনে এটাই পেয়েছি যে, জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার কমিয়ে আনা উচিত। বিদ্যুৎ চালিত যানবাহনের দিকে হয়ত আমাদের ধাবিত হতে হবে। কারণ এতে পরিবেশের দূষণ কম হয়। এছাড়া সৌরশক্তি, বায়ুশক্তি ও বায়োগ্যাসের মতো শক্তির উৎসের ব্যবহার বাড়াতে হবে। সড়কে পুরোনো ও ফিটনেসবিহীন গাড়ি চলাচল বন্ধ করতে হবে।
এছাড়া কারখানাতে উন্নত ফিল্টার প্রযুক্তি ব্যবহার করতে হবে, যাতে দূষিত বায়ু কম নির্গত হয়। বর্জ্য পোড়ানো এড়িয়ে চলতে হবে, পুনর্ব্যবহারযোগ্য পদার্থ ব্যবহার করতে হবে।
সর্বোপরি বায়ুদূষণ ও তার প্রভাব সম্পর্কে জনসচেতনতা গড়ে তোলা প্রয়োজন যেন সবাই এই বিষয়ে সচেতন হয় এবং নিজেদের দায়িত্ব পালন করে।
প্রতিবেদকের বয়স: ১৩। জেলা: ঢাকা।