আমি মনে করি, জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাব কমানোর জন্য সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন জনসচেতনতা বৃদ্ধি করা।
Published : 18 Feb 2025, 08:03 PM
জলবায়ু হল কোনো স্থানের ৩০-৪০ বছরের আবহাওয়ার গড় অবস্থা। আর জলবায়ুর নির্দিষ্ট বৈশিষ্ট্যের পরিবর্তনকে আমরা জলবায়ু পরিবর্তন বলে থাকি।
জলবায়ু বিভিন্ন কারণে পরিবর্তিত হয়। এরমধ্যে অন্যতম প্রধান কারণ হল গ্রিনহাউস গ্যাসের প্রভাব। এর ফলে পৃথিবীর মত গ্রহের পৃষ্ঠের তাপমাত্রা বাড়ায়।
শক্তি উৎপাদনে জীবাশ্ম জ্বালানি পোড়ানোর ফলে বায়ুমণ্ডলে কার্বন ডাই-অক্সাইড, নাইট্রোজেন ও মিথেনসহ নানা ধরনের ক্ষতিকর গ্যাস বায়ুমণ্ডলে মিশে পৃথিবীর তাপমাত্রা বাড়িয়ে দিচ্ছে। যা জলবায়ুর পরিবর্তনকে দ্রুত করছে।
পৃথিবীর তাপমাত্রা বাড়ার ফলে আমাদের কী ধরনের ক্ষতি হতে পারে এই বিষয়ে জানার চেষ্টা করেছিলাম। তাপমাত্রা বৃদ্ধির ফলে ভূ-পৃষ্ঠের বরফ গলে যাচ্ছে এবং সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই পরিবর্তনগুলো প্রকৃতি, বন্যপ্রাণী, মানব বসতির উপর ব্যাপক প্রভাব ফেলতে পারে।
পঞ্চম শ্রেণিতে বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বইয়ের আবহাওয়া ও জলবায়ু অধ্যায়ে পড়েছি, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে ২০৫০ সালের মধ্যে বাংলাদেশের এক তৃতীয়াংশ অঞ্চল সমুদ্রের পানিতে তলিয়ে যেতে পারে। যার ফলে মানুষ ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হবে।
জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে বাঁচার জন্য আমাদের এখনই সচেতন হতে হবে। এই পরিবর্তন মোকাবিলা করার জন্য আমরা যেসব কাজ করতে পারি তা হল গাছ কাটা বন্ধ করতে হবে, যতগুলো গাছ কাটা হবে তার দ্বিগুণ গাছ লাগাতে হবে। এছাড়াও কার্বন ডাই-অক্সাইডের মত ক্ষতিকর গ্যাস নির্গত হওয়া বন্ধ করতে হবে।
আমি মনে করি, জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাব কমানোর জন্য সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন জনসচেতনতা বৃদ্ধি করা। কারণ আমরা যত সচেতন হব ততই আমাদের জন্য মঙ্গল হবে।
প্রতিবেদকের বয়স: ১১। জেলা: কুড়িগ্রাম।