নতুন শিক্ষাক্রম পদ্ধতিতে আমরা বিভিন্ন বিষয় নিয়ে হাতেকলমে কাজ করেছি।
Published : 13 Jul 2024, 07:23 PM
নবম শ্রেণিতে উঠার পর এবছর নতুন শিক্ষাক্রমের সঙ্গে পরিচিত হয়েছি। এখন আমরা নতুন নিয়মে পরীক্ষা দিচ্ছি, যার নাম ষাণ্মাসিক সামষ্টিক মূল্যায়ন।
নতুন শিক্ষাক্রমের আওতাধীন বইগুলো আগের তুলনায় অনেকটাই আলাদা। বইয়ের প্রত্যেক অধ্যায়ে কোনো একটি বিষয়ে প্রথমে ধারণা দেওয়া হয়। তারপর সে ধারণার আলোকে বইয়ে উল্লেখিত ছকে নিজের মতামত, অনুভূতি, অভিজ্ঞতা ইত্যাদি লিখতে হয়।
শিখন অভিজ্ঞতা শেষে শিক্ষার্থীদের আত্মমূল্যায়নে অংশ নিতে হয়। এই ছকে নিজের ও নিজের কাজ সম্পর্কে বিভিন্ন প্রশ্ন থাকে। পাঠ শেষে আমাদেরকে নতুন কী শিখলাম, নতুন আর কী শিখতে চাই, দলগত কাজগুলো করতে কেমন লেগেছে, কী প্রতিকূলতার সম্মুখীন হয়েছি, কীভাবে সমস্যার সমাধান করেছি- এসব লিখতে হয়।
নতুন শিক্ষাক্রম পদ্ধতিতে আমরা বিভিন্ন বিষয় নিয়ে হাতেকলমে কাজ করেছি। যেমন পোস্টার, প্রেজেন্টেশন স্লাইড ও পোর্টফোলিও সাইট ইত্যাদি তৈরি করতে শিখেছি। গণিতে বিভিন্ন বাস্তব সমস্যার সমাধান করেছি।
স্কুলে আমাদের ইতোমধ্যে তিনটি বিষয়ে মূল্যায়ন শেষ হয়েছে। এরমধ্যে ডিজিটাল প্রযুক্তি ছাড়া আর অন্য বিষয়গুলোর মূল্যায়ন আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে।
ডিজিটাল প্রযুক্তি ভালো লাগেনি কারণ এই বিষয়ের মূল্যায়নে অনেক ব্যবহারিক কাজ ছিল যা স্কুলে ইন্টারনেট সমস্যার কারণে আমাদেরকে খাতায় লিখতে হয়েছে।
এই শিক্ষাক্রমের ফলে আমাদের মধ্যে নেতৃত্ব দেওয়ার গুণাবলী তৈরি হচ্ছে, আমরা অন্যের মতামতকে প্রাধান্য দিতে শিখছি। এছাড়া আমাদের মাঝে সহযোগিতার মনোভাবও বৃদ্ধি পাচ্ছে।
আমরা এখন একটি ওয়েবসাইট তৈরির কাজ করছি। আমাদের বইয়ে বেশ কিছু ফ্রি সাইটের নাম বলা আছে আমি সেই সাইটগুলোর একটিতে পোর্টফোলিও তৈরি করেছি।
সব মিলিয়ে আমার এই নতুন শিক্ষাক্রম খুবই ভালো লাগছে। শিক্ষকদের যথাযথভাবে প্রশিক্ষণ দেওয়া হলে আমরা বেশি সুফল পাব বলে মনে করি।
প্রতিবেদকের বয়স: ১৪। জেলা: ঢাকা।