আমাদের সফরের পরিকল্পনায় উত্তরা গণভবন পরিদর্শনের কথাও ছিল।
Published : 10 Feb 2025, 09:45 PM
কিছুদিন আগে সহপাঠীরা মিলে আমরা নাটোরের রাজবাড়িতে বেড়াতে যাই। এই স্থানটি বেছে নেওয়া হয় যাতে আমরা পুরোনো ইতিহাস ও ঐতিহ্যের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে পরিচিত হতে পারি।
সেদিন সকাল ৯টায় আমরা স্কুল থেকে রওনা হই। তবে কিছুদূর যাওয়ার পর হঠাৎ করে আমাদের বাস নষ্ট হয়ে যায়। বাধ্য হয়ে আমরা বাসের মধ্যেই সকালের নাস্তা সেরে নতুন বাসের জন্য অপেক্ষা করতে থাকি। কিছুক্ষণের মধ্যেই আরেকটি বাস চলে আসায় আমরা আবার যাত্রা শুরু করি। অবশেষে দুপুর ১টায় নাটোর রাজবাড়িতে পৌঁছাতে পারি।
কোথায় যাচ্ছি সেই স্থান সম্পর্কে আগেই আমাদের জানার আগ্রহ তৈরি হয়েছিল। সেখানে গিয়ে বিস্তারিত জানার সুযোগ হয়েছে।
ধারণা করা হয়, ১৭০৬ থেকে ১৭১০ সালের মধ্যে এই রাজবাড়ি নির্মাণ করা হয়। ১২০ একর আয়তনের এই বাড়িতে চারদিকে গভীর দীঘি খনন করা আছে।
পুরো রাজবাড়িটি আমরা ঘোড়ার গাড়িতে চড়ে ঘুরে দেখেছি। রাজবাড়ির দেয়ালে টেরাকোটার শিল্পকর্ম আমাদের মুগ্ধ করেছে। এখানে ঘুরে আমরা প্রাচীন সভ্যতা, রাজপ্রাসাদের নির্মাণশৈলী ও রাজাদের জীবনযাত্রা সম্পর্কে নতুন ধারণা পেয়েছি।
রাজবাড়ির আশপাশে বেশ কিছু মন্দির রয়েছে। এসব মন্দিরে বিভিন্ন শৈল্পিক কারুকাজ এবং দেবদেবীর মূর্তি দেখতে পাই। যার মধ্যে ফণাতোলা সাপের মূর্তি,শিব মূর্তি ও বাউলের মূর্তি অন্যতম। এগুলো দেখে প্রাচীন বাংলার কৃষ্টি ও সংস্কৃতি সম্পর্কে নতুন অনেক কিছু জানতে পারি।
আমাদের সফরের পরিকল্পনায় উত্তরা গণভবন পরিদর্শনের কথাও ছিল। তবে সময়ের অভাবে সেখানে আর যাওয়া সম্ভব হয়নি। তবে নাটোর রাজবাড়িতেই আমরা আনন্দঘন সময় কাটিয়েছি।
ঘোরাঘুরি শেষে ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও লটারির আয়োজন ছিল। মেয়েরা বালিশ খেলায় অংশ নেয়, আর ছেলেরা অংশ নেয় হাড়িভাঙা খেলায়।
এরপর অনুষ্ঠিত হয় র্যাফেল ড্র। এতে মোট ১৫টি পুরস্কার ছিল। শেষের আগের পুরস্কারটি আমি পেয়েছি। তবে লটারি জেতার চেয়েও ইতিহাসের সঙ্গে গভীরভাবে পরিচয়ের সুযোগটি আমাকে বেশি আনন্দ দিয়েছে।
প্রতিবেদকের বয়স: ১৩। জেলা: চাঁপাইনবাবগঞ্জ।