আর বৃষ্টির দিন হলে তো কথাই নেই। প্রায় সারাদিনই ভিজতাম। রাতে নানির মুখে গল্প শুনে ঘুমাতাম।
Published : 16 Jul 2024, 06:50 PM
আমার বয়স সতের। শৈশবের স্মৃতি আমাকে এখনো পিছুটানে। মনের অজান্তে আমি মাঝে মাঝে হারিয়ে যাই শৈশবের দিনগুলোতে। আমার শৈশবের স্মৃতিগুলো স্নেহ -মমতা, ভালোবাসা আর ভালো লাগা দিয়ে গড়া।
আমার বাড়ি কুষ্টিয়া সদর উপজেলার হাটশ হরিপুর গ্রামে। এই গ্রামের কোমল প্রকৃতির কোলে কেটেছে আমার দুরন্ত শৈশব। গ্রামের মেঠো পথ, ফসলের মাঠ আর খেলার মাঠে কাটিয়েছি আমার ছেলেবেলা।
শৈশবে আমি ছিলাম সামান্য চঞ্চল প্রকৃতির। প্রায়ই হারিয়ে যেতাম। সারাদিন নাওয়া খাওয়া ভুলে মেতে থাকতাম খেলাধুলায়। সে জন্য বাবা মা আর বড়দের কাছে অনেক বকুনি খেতে হয়েছে।
কিন্তু কে শোনে কার কথা। সারাদিন এটা নিয়ে ওটা নিয়ে ব্যস্ত থাকতাম। আজ ফসলের মাঠে তো কাল নদীর তীর। কোনো দিন খেলার মাঠে, আম বাগানে বা অন্য গ্রামে।
আর বৃষ্টির দিন হলে তো কথাই নেই। প্রায় সারাদিনই ভিজতাম। রাতে নানির মুখে গল্প শুনে ঘুমাতাম। কখনো রাজা রানীর গল্প আবার কখনো লৌকিক অলৌকিক গল্প শুনাতেন তিনি।
কাকডাকা ভোরে ঘুম ভাঙত। তারপর শুরু হতো নতুন দিনের যাত্রা।
প্রতিবেদকের বয়স: ১৭। জেলা: কুষ্টিয়া।