টাকা খরচে ব্যর্থতার দায় স্বাস্থ্যের নয়, দাবি মন্ত্রীর

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ‘পরিমাণমত‘ বরাদ্দ পেলেও সময়মত তা খরচ করতে না পারার বিষয়টি স্বীকার করে সেজন্য সহযোগী সরকরি সংস্থাগুলোর কাজের ‘ধীরগতিকে’ দায়ী করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 15 June 2022, 01:18 PM
Updated : 15 June 2022, 01:18 PM

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে বুধবার বাংলাদেশ হেলথ রিপোর্টার্স ফোরাম আয়োজিত ‘কেমন হল স্বাস্থ্য বাজেট ২০২২-২৩’ অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

গত বছর স্বাস্থ্য খাতে যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল, এর ৪১ শতাংশ ব্যয় করে বাকিটা ফেরত দিয়েছে মন্ত্রণালয়। আগের বছরগুলোর বাজেট বাস্তবায়নের চিত্রও খুব একটা ভালো নয়।

জাহিদ মালেক বলেন, “স্বাস্থ্যখাতে পরিমাণমত বরাদ্দ আসে, কিন্তু অনেকের অভিযোগ আছে সক্ষমতার অভাবে তার অধিকাংশই মন্ত্রণালয় খরচ করতে পারে না।”

এ ধরনের অভিযোগ অস্বীকার করে মন্ত্রী দাবি করেন, তার মন্ত্রণালয়ের সক্ষমতা থাকলেও সহযোগী অন্য সংস্থাগুলোর কারণে লক্ষ্য পূরণ সম্ভব হয় না।

“বরাবরই আমাদেরকে বলা হয়, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বাজেট বাস্তবায়নে স্লো। কিন্তু আমরা আসলে পারিপার্শ্বিকতার শিকার। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই আমাদের কিছু করার থাকে না।

“আমাদের বেশিরভাগ কাজ পিডব্লিউডি করে থাকে, তারা অনেক স্লো কাজ করে। তারা তো স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে নয়, যে কারণে সেখানে আমাদের কোনো হাত নেই।”

উদাহরণ হিসেবে মন্ত্রী বলেন, গত বছর চারটি মেডিকেল কলেজের কাজের মধ্যে তিনটির দরপত্র আহ্বান করার পরও কাজ এগিয়ে নেওয়া যায়নি। এছাড়া যে কোনো খরচের জন্য সবার আগে অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে ছাড়পত্র আনতে হয়, সেখানে অনেক সময় লাগে।

চলতি অর্থবছরে স্বাস্থ্যখাত বরাদ্দ পেয়েছে ৩৬ হাজার ৮৬৪ কোটি টাকা যা এবারের জাতীয় বাজেটের ৫ দশমিক ৪ শতাংশ।

জাহিদ মালেক বলেন, “বাজেটে স্বাস্থ্যখাতে বরাদ্দ গত বছরের তুলনায় কম বেড়েছে। গত অর্থবছরে বাজেট বেড়েছিল ১৪ শতাংশ। এই বাজেটে বেড়েছে ১২ শতাংশের কিছু বেশি।

“আমরা আশা করি বাজেটে স্বাস্থ্যে বরাদ্দ গতবছরের সমান বা তার চেয়ে বাড়ানো উচিত।”

গত বছর স্বাস্থ্য খাতে যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল, এর ৪১ শতাংশ ব্যয় করে বাকিটা ফেরত দিয়েছে মন্ত্রণালয়।

অন্যদের মধ্যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবির, পরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. মো. শামিউল ইসলাম, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচির পরিচালক ডা. শামসুল হক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্য অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. সৈয়দ আব্দুল হামিদ, হেলথ রিপোর্টার্স ফোরামের সভাপতি রাশেদ রাব্বি অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।