শুক্রবার ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বাজেট পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্য খাতের বরাদ্দ নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, বাজেটের প্রায় সাড়ে ৫ শতাংশ স্বাস্থ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। গবেষণা, অসংক্রামক রোগ, টিকা উৎপাদনের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, “কোভিড নিয়ন্ত্রণে যেন আমরা কাজ করে যেতে পারি, স্বাস্থ্য খাত যেন আরও শক্তিশালী হয়, সে বিষয়ের প্রতিফলন হয়েছে বাজেটে। এক কথায় আমরা বলতে পারি, আমরা সন্তুষ্ট।
“সন্তুষ্টির তো শেষ নাই, এটা একটা চলমান প্রক্রিয়া। আমি মনে করি, আমাদের যখন যেটার প্রয়োজন হবে, অর্থমন্ত্রী, অর্থ সচিব, ওনারা সহায্য-সহযোগিতা করবেন।”
স্বাস্থ্যের বিভিন্ন যন্ত্রপাতি ও কাঁচামালের কর কমিয়ে দেয়ায় অর্থমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান তিনি।
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বৃহস্পতিবার ৬ লাখ ৭৮ হাজার ৬৪ কোটি টাকার যে বাজেট জাতীয় সংসদে উপস্থাপন করেছেন, সেখানে স্বাস্থ্য খাতে ৩৬ হাজার ৮৬৩ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে।
এ হিসাবে স্বাস্থ্য খাত বরাদ্দ পেয়েছে প্রস্তাবিত বাজেটের ৫ দশমিক ৪ শতাংশ, বিদায়ী অর্থবছরের বাজেটেও এই হার একই ছিল।
চলতি অর্থবছরে সংশোধিত মূল বাজেটের আকার ছিল ৫ লাখ ৯৩ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। সেখানে স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ দেওয়া হয় ৩২ হাজার ২৭৪ কোটি টাকা।
সেই হিসেবে নতুন অর্থবছরে টাকার অংকে স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ বেড়েছে ৪ হাজার ৫৮৯ কোটি টাকা, যা আগের অর্থবছরের চেয়ে ১৪ দশমিক ২১ শতাংশ বেশি।
নতুন অর্থবছরের ৩৬ হাজার ৮৬৩ কোটি টাকা বরাদ্দের মধ্যে ৭ হাজার ৫৮২ কোটি টাকা রাখা হয়েছে স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণের জন্য। অর্থাৎ, স্বাস্থ্য সেবার জন্য থাকছে ২৯ হাজার ২৮১ কোটি টাকা, যা জিডিপির ১ শতাংশেরও কম।
এর ১৩ হাজার ৪৩০ কোটি টাকা খরচ হবে পরিচালন বাবদ, উন্নয়ন পাবে ১৫ হাজার ৮৫১ কোটি টাকা।
নতুন অর্থবছরের বাজেটে শিল্পায়নে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, “এবারের বাজেটের সবচেয়ে ভাল দিক নতুন কোনো নিত্যপণ্যে কর বাড়ানো হয়নি। শিল্পায়নে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
“কাঁচামালের ট্যাক্স যাতে কম হয়, সেদিকে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। শিল্পায়ন বাড়লে কর্মসংস্থান হবে, বৈদেশিক মুদ্রা আসবে। এদিকে নজর দেয়া হয়েছে। ভর্তুকি, সামাজিক নিরাপত্তাও বড় করে দেওয়া হয়েছে।”