আগে থেকে উদ্যোগ নেওয়ায় টিকাদান এগিয়ে নেওয়া যাচ্ছে: প্রধানমন্ত্রী

সরকার আগে থেকে উদ্যোগী হয়েছিল বলেই মোট জনসখ্যার ৭০ শতাংশ মানুষকে কোভিড টিকা দেওয়ার কাজ এখন দ্রুত এগিয়ে নেওয়া সম্ভব হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। 

সংসদ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 26 Jan 2022, 09:52 AM
Updated : 26 Jan 2022, 09:52 AM

বুধবার সংসদ অধিবেশনের প্রশ্নোত্তর পর্বে টাঙ্গাইল-৬ আসনের সংসদ সদস্য আহসানুল ইসলাম টিটুর এক লিখিত প্রশ্নের উত্তরে এ বিষয়ে কথা বলেন সরকারপ্রধান। স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উত্থাপিত হয়।

শেখ হাসিনা বলেন, “বিশ্বজুড়ে করোনা প্রাদুর্ভাব শুরু হওয়ার পর পরই সংক্রমণ প্রতিরোধে কার্যকরী ব্যবস্থা হিসেবে বিনামূল্যে টিকা প্রদানের বিষয়টি আমার সরকার অগ্রাধিকার দিয়েছে। এ লক্ষ্যে করোনা টিকা আবিষ্কার ও ব্যবহারের অনুমতি প্রাপ্তির পূর্ব হতেই আমরা টিকা সংগ্রহ ও টিকা প্রদানের বিষয়ে সকল উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলাম।

“তারই ফলস্বরূপ দেশব্যাপী ৭ ফেব্রুয়ারি ২০২১ তারিখে কোভিড বিনামূল্যে টিকা প্রদানের কার্যক্রম শুরু হয় এবং অদ্যাবধি অব্যাহত রয়েছে।”

প্রধানমন্ত্রী তথ্য দেন, দেশব্যাপী টিকাদান কার্যক্রমের আওতায় ১৭ জানুয়ারি পর্যন্ত আট কোটি ৯১ লাখ ৬৩ হাজার ৯৭৮ জনকে প্রথম ডোজ এবং পাঁচ কোটি ৭০ লাখ ২০ হাজার ৮৩৪ জনকে দ্বিতীয় ডোজ এবং সাত লাখ ৪১ হাজার ২৬৫ জনকে করোনাভাইরাসের টিকার বুস্টার ডোজ দেওয়া হয়েছে।

অবশ্য এর পরের নয় দিনে আরও প্রায় এক কোটি ডোজ টিকা দেওয়া হয়েদেশে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, মঙ্গলবার পর্যন্ত ৯ কোটি ৫৪ লাখ ৪০ হাজার ৩২১ জনকে প্রথম ডোজ এবং পাঁচ কোটি ৯৭ লাখ ১১ হাজার ৫৩৮ জনকে দ্বিতীয় ডোজ এবং ১২ লাখ ৬৪ হাজার ৭৪৫ জনকে করোনাভাইরাসের টিকার বুস্টার ডোজ দেওয়া হয়েছে।

বর্তমানে দেশের মোট জনসংখ্যা ১৭ কোটি ৩ লাখ ১৭ হাজারের বেশি। মহামারী মোকাবিলায় জনসংখ্যার ৭০ শতাংশকে টিকার আওতায় আনার লক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। সেই হিসাবে ১১ কোটি ৯২ লাখ ২১ হাজারের বেশি মানুষকে দেওয়া হবে করোনাভাইরাসের প্রতিষেধক।

২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়ে। ওই বছর ডিসেম্বরে শেষ দিকে সরকার যে পরিকল্পনা করেছিল, তাতে ৮০ শতাংশ বা ১৩ কোটি ৮২ লাখ ৪৭ হাজারের বেশি মানুষকে টিকা দেওয়ার কথা ছিল।

সংসদে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “সারাবিশ্বের ন্যায় দেশের কোভিড-১৯ মহামারি পরিস্থিতি বিবেচনা করে বাংলাদেশ সরকারও চলমান কোভিড-১৯ টিকাদান কার্যক্রমের আওতায় বুস্টার ডোজ প্রদানের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। এ বিষয়ে ন্যাশনাল ইম্যুনাইজেশন টেকনিক্যাল অ্যাডভাইজরি গ্রুপ, বাংলাদেশের সুপারিশ অনুযায়ী এবং করোনা ভাইরাস ভ্যাকসিন প্রদান কার্যক্রম বাস্তবায়ন সংক্রান্ত জাতীয় কমিটির অনুমোদনক্রমে দেশব্যাপী গত ২৮ ডিসেম্বর ২০২১ হতে বুস্টার ডোজ প্রদান শুরু করা হয়েছে। বর্তমানে দেশে ষাটোর্ধ্ব জনগোষ্ঠী, সম্মুখসারির স্বাস্থ্যকর্মীগণকে ও বিদেশগামী কর্মীদের বুস্টার ডোজ প্রদান করা হচ্ছে।”