এর ফলে চলতি মাসের প্রথম ২৫ দিনে এইডিস মশাবাহিত এ রোগে আক্রান্ত হয়েছে ৪ হাজার ৬৭৩ জন, প্রাণ গেছে ১৯ জনের।
গত সেপ্টেম্বর মাসে এই মৌসুমের সর্বোচ্চ ৭ হাজার ৮৪১ জন রোগী ডেঙ্গু নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন; মৃত্যু হয়েছে ২৩ জনের।
এর আগে অগাস্ট মাসে ৭ হাজার ৬৯৮ জন রোগী ডেঙ্গু নিয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছিলেন। আর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ৩৪ জনের।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, মঙ্গলবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ১৪১ জন ডেঙ্গু রোগী ঢাকার ৪৬টি সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। ঢাকার বাইরের হাসপাতালগুলোতে ভর্তি হয়েছেন আরও ৪১ জন।
বর্তমানে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন আছেন ৮৪১ জন ।
তাদের মধ্যে ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন হাসপাতালে ৬৮৭ জন এবং ঢাকার বাইরের বিভিন্ন বিভাগে ১৫৪ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি রয়েছেন।
চলতি বছর হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এসেছেন ২২ হাজার ৮৭০ জন ডেঙ্গু রোগী। তাদের মধ্যে ২১ হাজার ৯৪১ জনই সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাবে এ বছরের প্রথম ৬ মাসে ডেঙ্গুতে কোনো রোগীর মৃত্যু হয়নি। তবে জুলাই থেকে রোগী বাড়তে থাকায় এ পর্যন্ত ৮৮ জনের প্রাণ গেল এইডিস মশাবাহিত এই রোগে।
এ বছর মোট ভর্তি রোগীর মধ্যে অগাস্ট ও সেপ্টেম্বর মাসেই ভর্তি হয়েছেন ১৫ হাজার ৫৩৯ জন। আর এই দুই মাসে মারা গেছেন ৫৭ জন ডেঙ্গু রোগী।
২০১৯ সালে বাংলাদেশে ডেঙ্গু মারাত্মক আকার ধারণ করায় এক লাখের বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছিলেন, এ বছরই সবচেয়ে বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছিল এই ভাইরাস জ্বরে।
সে বছর বিভিন্ন হাসপাতাল থেকে আসা ২৬৬টি মৃত্যু পর্যালোচনা করে ১৪৮ জনের ডেঙ্গুতে মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করেছিল আইইডিসিআর।
পরের বছর তা অনেকটা কমে আসায় হাসপাতালগুলো ১ হাজার ৪০৫ জন ডেঙ্গু রোগী পেয়েছিল।