এখন ভর্তি আছে ৮৬১ জন। এর মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ৭০৩ জন এবং ঢাকার বাইরের বিভিন্ন বিভাগে ১৫৮ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি রয়েছেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ১৫৪ জন ডেঙ্গু রোগী ঢাকার ৪৬টি সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। ঢাকার বাইরের হাসপাতালগুলোতে ভর্তি হয়েছেন আরও ৩৬ জন।
গত একদিনে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে কারও মৃত্যুর খবর আসেনি।
চলতি মাসে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ৪৯১ জন। আর এ মাসে ডেঙ্গুতে মৃত্যু হয়েছে ১৮ জনের।
মহামারীর মধ্যে এ মৌসুমে জুলাই থেকে উদ্বেগ বাড়াতে থাকে ডেঙ্গু।
এ বছর হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এসেছেন ২২ হাজার ৬৮৮ জন ডেঙ্গু রোগী। তাদের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ২১ হাজার ৭৪০ জন।
চলতি বছর মোট ভর্তি রোগীর মধ্যে অগাস্ট ও সেপ্টেম্বর মাসেই ভর্তি হয়েছেন ১৫ হাজার ৫৩৯ জন। আর এই দুই মাসে মারা গেছেন ৫৭ জন ডেঙ্গু রোগী।
গত সেপ্টেম্বর মাসে এই মৌসুমের সর্বোচ্চ ৭ হাজার ৮৪১ জন রোগী ডেঙ্গু নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। আর এতে প্রাণ গেছে ২৩ জনের।
এর আগে অগাস্ট মাসে ৭ হাজার ৬৯৮ জন রোগী ডেঙ্গু নিয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছিলেন। আর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ৩৪ জনের।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাবে চলতি বছরের প্রথম ৬ মাসে ডেঙ্গুতে কোনো রোগীর মৃত্যু হয়নি। তবে জুলাই থেকে রোগী বাড়তে থাকায় এ পর্যন্ত ৮৭ জনের প্রাণ গেল এইডিস মশাবাহিত এই রোগে।
২০১৯ সালে বাংলাদেশে ডেঙ্গু মারাত্মক আকার ধারণ করায় এক লাখের বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছিলেন, এ বছরই সবচেয়ে বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছিল এই ভাইরাস জ্বরে।
সে বছর বিভিন্ন হাসপাতাল থেকে আসা ২৬৬টি মৃত্যু পর্যালোচনা করে ১৪৮ জনের ডেঙ্গুতে মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করেছিল আইইডিসিআর।
পরের বছর তা অনেকটা কমে আসায় হাসপাতালগুলো ১ হাজার ৪০৫ জন ডেঙ্গু রোগী পেয়েছিল।