শিশুদের কোভিড টিকা শিগগিরই: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

দেশে শিগগিরই ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সীদের করোনাভাইরাসের টিকা দেওয়া শুরু হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 10 Oct 2021, 09:00 AM
Updated : 10 Oct 2021, 12:11 PM

রোববার মহাখালীতে বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিশিয়ান্স অ্যান্ড সার্জনস মিলনায়তনে তিনি বলেন, সম্প্রতি সুইজারল্যান্ড সফরে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক এবং গ্যাভির প্রতিনিধির সঙ্গে তার কথা হয়েছে। শিশুদের টিকা দেওয়ার ব্যাপারে তারা ‘সায় দিয়েছেন’।

“তারা আমাদের বলেছেন, ‘আপনারা সংক্রমণ রোধে টিকা দিতে পারেন’। গ্যাভিও আমাদের ফাইজার ও মডার্নার টিকা বেশি করে দেবে বলে আশ্বস্ত করেছে।”

স্বাস্থ্যমন্ত্রী, বলেন, সরকারের হাতে এখন ৬০ লাখ ডোজ ফাইজারের টিকা রয়েছে, এছাড়া আরও ৭০ লাখ ডোজ টিকার প্রতিশ্রুতি পাওয়া গেছে। সরকারের হাতে থাকা টিকার অর্ধেক ১২ থেকে ১৭ বছরের শিশুদের দেওয়া হবে। টিকার জন্য শিশুদের নিবন্ধন হবে জন্ম নিবন্ধন সনদের মাধ্যমে।

“ফাইজারের সবগুলো টিকাই আমরা স্কুলের ছেলেমেয়েদের দেব। বাকি অর্ধেক টিকা আমরা রেখে দেব শিশুদের দ্বিতীয় ডোজ দেওয়ার জন্য। আবার যখন ফাইজারের টিকা আসবে, তখন আমার দেব। এটা খুব শিগগির দেওয়া হবে। আমরা প্রোগ্রাম তৈরি করছি, দুয়েক দিনের মধ্যেই দেখবেন কাজকর্ম শুরু হয়ে গেছে।”

মন্ত্রী বলেন, শিক্ষার্থীরা তাদের জন্ম নিবন্ধন দিয়ে নিবন্ধন করবে। এছাড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমেও নিবন্ধন করা যাবে। বিষয়টি আইসিটি বিভাগকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।

“যাদের জন্ম নিবন্ধন সনদ নাই, কিন্তু জন্ম সনদ আছে, তাদের আমরা জন্ম সনদের মাধ্যমে দেব। স্কুল থেকেও সার্টিফাই করবে।”

বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের টিকাদান কর্মসূচির এযাবৎকালের পরিসংখ্যানও সংবাদ সম্মেলনে তুলে ধরেন জাহিদ মালেক।

তিনি বলেন, সরকারের হাতে এ পর্যন্ত ৭ কোটি ২২ লাখ ডোজ টিকা এসেছে। এর মধ্যে ৫ কোটি ৪১ লাখ ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছে। ১ কোটি ৮১ লাখ ডোজ টিকা হাতে আছে। এ পর্যন্ত টিকার জন্য নিবন্ধন করেছেন ৫ কোটি ২০ লাখ মানুষ।

আগামী জানুয়ারি নাগাদ বাংলাদেশের হাতে পাওয়া টিকার পরিমাণ ১৬ কোটি ডোজে পৌঁছাবে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, “এর মধ্যে কোভ্যাক্স ফ্যাসিলিটি থেকে যে টিকা দিচ্ছে, তার সংখ্যা যদি বাড়ে তাহলে আমাদের টিকার সংখ্যাও বেড়ে যাবে। এই টিকা দিয়ে আমরা জানুয়ারি পর্যন্ত ৮ কোটি মানুষকে টিকার আওতায় আনতে পারব।”

স্বাস্থ্য মন্ত্রী জানান, সুইজারল্যান্ডে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালকের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে তিনি বাংলাদেশকে বিনামূল্যে আরও বেশি টিকা দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।

“আমাদের জনসংখ্যার ২০ শতাংশ টিকা আমরা কোভ্যাক্স থেকে পাই। এটা বাড়ানোর অনুরোধ করেছি। তিনি (ডব্লিউএইচও মহাপরিচালক) বলেছেন, টিকার প্রাপ্যতা বেড়ে গেলে আমাদেরকে ৩০-৩৫ পার্সেন্ট টিকা দেবেন।”

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশীদ আলম, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. লোকমান হোসেন মিঞা, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুন