মঙ্গলবার সকালে দেশের চার হাজার ৬০০ ইউনিয়ন, এক হাজার ৫৪টি পৌরসভা, সিটি করপোরেশনের ৪৪৩টি ওয়ার্ডে নির্ধারিত কেন্দ্রে এই টিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, ২৫ বছরের বেশি বয়সী যারা আগেই টিকার জন্য নিবন্ধন করেছিলেন, তাদের মধ্যে থেকেই ৭৫ লাখ মানুষকে এদিন টিকার প্রথম ডোজ দেওয়া হচ্ছে। সেজন্য তাদের মোবাইলে আগেই এসএমএস পাঠিয়ে কেন্দ্র জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল।
তবে উত্তর সিটি এলাকায় অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে টিকাদান কেন্দ্র করায় সকাল ৯টায় নির্ধারিত সময়ে টিকাদান শুরু করা যায়নি বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
এই সিটির স্বাস্থ্য বিভাগের একজন কর্মকর্তা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেছেন, স্কুল খোলা থাকায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অস্থায়ী কেন্দ্রে টিকাদান শুরু হবে দুপুর আড়াইটা থেকে। অন্যান্য কেন্দ্রে টিকাদান সময়মতই শুরু হয়েছে।
সাবরিনা আক্তার নামে একজন গৃহিনী বলেন, “কাল মোবাইলে এসএমএস এসেছে টিকার জন্য। আমি সকালে এসে বসে আছি। আমরা জানি সকালে টিকা দেওয়া হবে। কিন্তু এখন বলছে দুপুরে দেবে।”
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. মো. শরীফ আহমেদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, তার এলাকায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে থাকা টিকাকেন্দ্র সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
“স্কুলে যেখানে কেন্দ্র ছিল তা আমরা সরিয়ে কাছেই অন্য জায়গায় নিয়েছি। ফলে টিকাদান কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে না। সকাল সাড়ে ৯টায় টিকাদান শুরু হয়েছে, সারাদিন ধরে চলবে।”
স্বাস্থ্য বিভাগ জানিয়েছে, প্রতিটি ইউনিয়ন পর্যায়ে তিনটি, পৌরসভায় একটি এবং সিটি করপোরেশন এলাকার প্রতিটি ওয়ার্ডে তিনটি করে বুথে টিকা দেওয়া হচ্ছে।
ইউনিয়ন পর্যায়ে প্রতিটি কেন্দ্রে ১৫শ, পৌরসভার কেন্দ্রে ৫শ এবং সিটি করপোরেশনের ওয়ার্ডগুলোয় এক হাজারের বেশি মানুষকে টিকা দেওয়া হবে।
গত ৭ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের টিকাদান শুরু হলেও সরবরাহ সঙ্কটে মাঝে কিছুদিনেএ কর্মসূচি থমকে যায়। পর নতুন চালান এলে টিকাদানেও গতি আসে।
সে সময় ৭ অগাস্ট থেকে ছয় দিনের গণটিকাদান কর্মসূচির আওতায় ৫০ লাখের বেশি মানুষকে টিকার প্রথম ডোজ দেওয়া হয়েছিল। সেই কর্মসূটির প্রথম দিনই টিকা পেয়েছিলেন প্রায় ৩০ লাখ লোক। এক দিনে ৭৫ লাখ মানুষকে টিকা দেওয়ার চেষ্টা এর আগে আর দেশে হয়নি।