সোমবার এসব অ্যাম্বুলেন্স ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, জাতীয় বক্ষব্যাধি ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল, ডিএনসিসি কোভিড ডেডিকেটেড হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতাল এবং জেলা পর্যায়ের হাসপাতালে দেওয়া হয়েছে।
বিতরণ করা অ্যাম্বুলেন্সের মধ্যে ভারতের কাছ থেকে এখন পর্যন্ত উপহার হিসেবে পাওয়া ৪১টি অ্যাম্বুলেন্স রয়েছে।
করোনাভাইরাস পরিস্থিতি মোকাবিলায় দেশটি ১০৯টি অ্যাম্বুলেন্স দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। পর্যায়ক্রমে এগুলো বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশে আসছে।
এছাড়া সোমবার হাসপাতাল সার্ভিস ম্যানেজমেন্ট এবং উপজেলা হেলথ কেয়ারের অপারেশন প্লানের আওতায় কেনা ৮১টি অ্যাম্বুলেন্স বিভিন্ন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
সোমবার রাজধানীর তেজগাঁওয়ের কেন্দ্রীয় ঔষধাগার প্রাঙ্গনে এসব অ্যাম্বুলেন্স বিতরণ করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
এ সময় স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মো. লোকমান হোসেন মিঞা, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশীদ আলম, বাংলাদেশে ভারতীয় হাই কমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামীসহ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
মহামারীকালে এই উপহারের জন্য ভারত সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, এসব অ্যাম্বুলেন্স পাওয়ায় দেশের স্বাস্থ্য খাত আরও এক ধাপ এগিয়ে গেল, স্বাস্থ্যসেবার উন্নয়ন হল। অ্যাম্বুলেন্সগুলোর ব্যবহার শুরু করে দেওয়া হবে।
“আইসিইউ অ্যাম্বুলেন্সগুলো আমরা কাজে লাগাব। কারণ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের জন্য আইসিইউ খুব প্রয়োজন হয়। রোগী আনা নেওয়ার জন্য উন্নত মানের অ্যাম্বুলেন্স দরকার হয়। সেটা আমরা আজ পেলাম।”
অ্যাম্বুলেন্সগুলো সঠিকভাবে ব্যবহারে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডিজিকে নির্দেশনা দেন জাহিদ মালেক।
“এখানে স্বাস্থ্যের ডিজি মহোদয় আছেন। অ্যাম্বুলেন্সগুলো যেন সঠিকভাবে সঠিক জায়গায় দেন, সঠিকভাবে ব্যবহার করেন। মানুষ যেন এর সুবিধা পায়।”
এসময় দেশে করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে দাবি করে তিনি বলেন, গত কয়েকদিন ধরেই শনাক্ত ও মৃত্যুর হার কম রয়েছে। এটা এমনি এমনি হয়নি।
“ডাক্তার, নার্সসহ সবাই কাজ করেছে। বিভিন্ন বাহিনীসহ সবাই সহযোগিতা করেছে। যে কারণে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃত্যুর হার কমিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সার্বক্ষণিক আমাদের নির্দেশনা দিয়েছেন। যখন আমরা যা চেয়েছি তা পেয়েছি, দুই মিনিটও সময় লাগে নাই।”