এর আগে গত ১৭ অগাস্ট এইডিস মশাবাহিত এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে সর্বোচ্চ ৩২৯ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, মঙ্গলবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ঢাকা মহানগরের ৪১টি সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে ২৮৬ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছেন। এর বাইরে দেশের অন্যান্য স্থানের হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন আরও ৫৭ জন।
তবে গত একদিনে এ রোগে কারও মৃত্যর খবর আসেনি।
এর আগের দিন সোমবার ২৭৫ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন।
অধিদপ্তরের তথ্য মতে, সেপ্টেম্বরের প্রথম ছয়দিনে হাসপাতালে ভর্তি ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৭৮ জন, একই সময়ে এই ভাইরাস জ্বরে মৃত্যু হয়েছে ৬ জনের।
তবে মাসের হিসাবে অগাস্ট মাসে এই মৌসুমের সর্বোচ্চ ৭ হাজার ৬৯৮ জন রোগী ডেঙ্গু নিয়ে হাসপাতালে এসেছেন। গত মাসে এ রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ৩৪ জনের।
সব মিলিয়ে চলতি বছর হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এসেছেন ১২ হাজার ৪৩৪ জন ডেঙ্গু রোগী। তাদের মধ্যে ১১ হাজার ১০১ জনই সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন।
বর্তমানে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ১ হাজার ২৮১ জন ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসাধীন আছেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাবে চলতি বছরের প্রথম ৬ মাসে ডেঙ্গুতে কোনো রোগীর মৃত্যু হয়নি। তবে জুলাই থেকে রোগী বাড়ায় সোয়া দুই মাসেই ৫২ জন মারা গেলেন ডেঙ্গুতে।
২০১৯ সালে বাংলাদেশে ডেঙ্গু মারাত্মক আকার ধারণ করায় এক লাখের বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছিলেন, এ বছরই সবচেয়ে বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছিল এই ভাইরাস জ্বরে।
সে বছর বিভিন্ন হাসপাতাল থেকে আসা ২৬৬টি মৃত্যু পর্যালোচনা করে ১৪৮ জনের ডেঙ্গুতে মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করেছিল আইইডিসিআর।
পরের বছর তা অনেকটা কমে আসায় হাসপাতালগুলো ১ হাজার ৪০৫ জন ডেঙ্গু রোগী পেয়েছিল এবং ৭ জনের মৃত্যু আইইডিসিআর নিশ্চিত করেছিল।