এ নিয়ে সেপ্টেম্বরের প্রথম পাঁচ দিনে হাসপাতালে ভর্তি ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল ১ হাজার ৭৩৫ জনে, আর এই ভাইরাস জ্বরে মৃত্যু হয়েছে ৬ জনের।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ২২০ জন ডেঙ্গু রোগী ঢাকার ৪১টি সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। ঢাকার বাইরের হাসপাতালগুলোতে ভর্তি হয়েছেন আরও ৫৫ জন।
তবে গত একদিনে এইডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু রোগে কারও মৃত্যর খবর আসেনি।
আগের দিন ৩১৫ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। সে হিসেবে একদিনের ব্যবধানে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা কমেছে।
দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে একহাজার ২৩৩ জন ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসাধীন আছেন।
গত অগাস্ট মাসে এই মৌসুমের সর্বোচ্চ ৭ হাজার ৬৯৮ জন রোগী ডেঙ্গু নিয়ে হাসপাতালে এসেছেন; আর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ৩৪ জনের।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাবে চলতি বছরের প্রথম ৬ মাসে ডেঙ্গুতে কোনো রোগীর মৃত্যু হয়নি। তবে জুলাই থেকে রোগী বাড়ায় গত দুই মাসেই ৫২ জন মারা গেলেন ডেঙ্গুতে।
চলতি বছর হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এসেছেন ১২ হাজার ৯১ জন ডেঙ্গু রোগী। তাদের মধ্যে ১০ হাজার ৮০৬ জনই সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন।
২০১৯ সালে বাংলাদেশে ডেঙ্গু মারাত্মক আকার ধারণ করায় এক লাখের বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছিলেন, এ বছরই সবচেয়ে বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছিল এই ভাইরাস জ্বরে।
সে বছর বিভিন্ন হাসপাতাল থেকে আসা ২৬৬টি মৃত্যু পর্যালোচনা করে ১৪৮ জনের ডেঙ্গুতে মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করেছিল আইইডিসিআর।
পরের বছর তা অনেকটা কমে আসায় হাসপাতালগুলো ১ হাজার ৪০৫ জন ডেঙ্গু রোগী পেয়েছিল।