শুক্রবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মৃতদের মধ্যে ২৭ জনই ঢাকা বিভাগের। এছাড়া চট্টগ্রাম বিভাগে ২ জন, খুলনা বিভাগে ১ জন এবং রাজশাহী বিভাগের ১ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমারজেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের তথ্য অনুযায়ী, এ বছর জুলাই মাসে ১২ জন এবং ১৯ অগাস্ট পর্যন্ত মারা গেছেন আরও ১৯ জন।
এইডিস মশাবাহিত এ রোগে আক্রান্ত হয়ে এ বছর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৭ হাজার ৪৭২ জন। তাদের মধ্যে অগাস্ট মাসে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন ৪ হাজার ৮১৪ জন রোগী।
২০১৯ সাল থেকে ডেঙ্গু সন্দেহে মৃত্যুর সব তথ্য সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান- আইইডিসিআরে পাঠানো হত। সেসব পর্যালোচনা করে ডেঙ্গুতে মৃত্যু হয়েছে কি না নিশ্চিত করত আইইডিসিআর।
তবে গত ১৬ অগাস্ট থেকে হাসপাতালের পরীক্ষায় নিশ্চিত হওয়া ডেঙ্গু রোগে মৃত্যুর তথ্য নিয়েই সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সে সংখ্যা জানিয়ে আসছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক ডা. কামরুল কিবরিয়া বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “২০১৯ সালে যখন ব্যাপক আকারে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব ছড়িয়ে পড়েছিল তখন ওই প্রসিডিউরটা শুরু হয়েছিল।
তিনি জানান, হাসপাতালে অ্যান্টিজেন টেস্ট করলেই জানা যায় রোগী ডেঙ্গু আক্রান্ত কি না। ডেঙ্গুর মৃত্যুর তথ্য হাসপাতালগুলোই নিশ্চিত করে।
ডা. কামরুল কিবরিয়া বলেন, “তারা আমাদের প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টগুলো পাঠায়, সে অনুযায়ী আমরা মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করি। তবে ডকুমেন্টগুলো হাতে পেতে কিছুটা সময় লাগে বলে মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করতেও কিছুটা দেরি হয়।”
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসেবে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ২০১৯ সালে সবচেয়ে বেশি ১৪৮ জনের মৃত্যু হয়। সে বছর বিভিন্ন হাসপাতাল থেকে আসা ২৬৬টি মৃত্যু পর্যালোচনা করে ১৪৮ জনের ডেঙ্গুতে মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করেছিল আইইডিসিআর। ওই বছর সারা দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে এক লাখের বেশি মানুষ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল।
এর আগে ২০০০ সালে ডেঙ্গুতে ৯৩ জনের মৃত্যু হয়েছিল। ওই বছর এইডিসবাহিত এই রোগে আক্রান্ত হয় ৫ হাজার ৫৫১ জন। এছাড়া ২০১৮ সালে আক্রান্ত ১০ হাজার ১৪৮ জনের মধ্যে ২৬ জনের মৃত্যুর তথ্য দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
বর্তমানে সব মিলিয়ে মোট ১ হাজার ১৯০ জন ডেঙ্গুরোগী দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি আছেন। তাদের ১ হাজার ৯৪ জন ঢাকার এবং ৯৬ জন অন্যান্য বিভাগের হাসপাতালে ভর্তি।