ভাইরাস নিয়ন্ত্রণের পথ খুঁজতে বৈঠকে সরকার

মহামারীর দেড় বছরের মধ্যে দেশ যখন সবচেয়ে বিপর্যয়কর অবস্থায় পড়েছে, লকডাউন দিয়েও যখন সংক্রমণ ও মৃত্যু কমানো যাচ্ছে না, এ পরিস্থিতিতে করণীয় কী ঠিক করতে গুরুত্বপূর্ণ এক সভায় বসছে সরকার।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 27 July 2021, 08:58 AM
Updated : 27 July 2021, 08:58 AM

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামালের সভাপতিত্বে মঙ্গলবার দুপুর দেড়টায় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সভাকক্ষে এই বৈঠক শুরু হয়।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক, স্বাস্থ্য সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক, বিজিবি প্রধানসহ বিভিন্ন সংস্থার কর্মকর্তারা বৈঠকে উপস্থিত আছেন।

মাঝে ঈদের বিরতি দিয়ে গত ২৩ জুলাই ভোর থেকে সারা দেশে আবারও লকডাউনের কঠোর বিধিনিষেধ শুরু হয়েছে। অফিস-আদালত, গণপরিবহন বন্ধ রাখার পাশাপাশি অতি জরুরি প্রয়োজন ছাড়া মানুষকে ঘর থেকে বের হতে নিষেধ করা হয়েছে। কিন্তু সংক্রমণ কমছে না।

দৈনিক রোগী শনাক্ত ও মৃত্যু- দুই ক্ষেত্রেই রেকর্ড হয়েছে সোমবার। এক দিনে ১৫ হাজার ১৯২ জন কোভিড-১৯ রোগী শনাক্তের পাশাপাশি ২৪৭ জনের মৃত্যু হয়েছে, যা এ যাবৎকালের সর্বোচ্চ।

পরিস্থিতি সামাল দিতে গত ১ জুলাই দেশে লকডাউন জারি করা হলেও বিশেষজ্ঞদের মতামত উপেক্ষা করে কোরবানির ঈদের সময় নয় দিন তা শিথিল করা হয়েছিল।

অগাস্ট মাসে আরও ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে বলেও এখন আশঙ্কা করছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।

চলমান ‘কঠোর লকডাউন’ ৫ অগাস্ট পর্যন্ত চালানোর ঘোষণা রয়েছে সরকারের। সংক্রমণ কমাতে বিশেষজ্ঞরা লকডাউনের পক্ষে বললেও তা আবার মানুষকে জীবিকার সঙ্কটে ফেলছে, সেটাও সরকারকে ভাবতে হচ্ছে।

ফাইল ছবি

মন্ত্রিপরিষদ সচিব  খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সোমবার সাংবাদিকদের প্রশ্নে বলেছিলেন, লকডাউন বাড়বে কিনা তা মঙ্গলবারই জানা যাবে।

আর জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন সাংবাদিকদের প্রশ্নে বলেছিলেন, সংক্রমণ যে গতিতে ছড়াচ্ছে, তাতে এখন ‘কঠোর বিধি-নিধেষের কোনো বিকল্প নেই’।

কয়েক মাস আগে মহামারীর দ্বিতীয় ঢেউয়ে ভারতের অবস্থা করুণ হয়ে উঠেছিল। বাংলাদেশে হাসপাতালে এখনই শয্যা পাওয়া কঠিন হয়ে যাচ্ছে। ফলে পরিস্থিতি কোন দিকে যাচ্ছে, তা নিয়ে শঙ্কা বাড়ছে।

পরিস্থিতি সামাল দিতে ব্যক্তিগত স্বাস্থ্য সচেতনতার উপর জোর দিচ্ছেন সচিব আনোয়ারুল ইসলাম।

তিনি বলেন, “হাসপাতালের সিট বাড়িয়ে, ডাক্তার বাড়িয়ে এগুলো (করোনাভাইরাস) নিয়ন্ত্রণ করা যায় না। ইউরোপের দেশগুলো দেখেন, স্পেন, ডেনমার্ক, সুইডেন, নরওয়ে, জার্মানি। জার্মানিতে তো অসহায় হয়ে পড়েছিল। ইন্ডিয়ার অবস্থা দেখেন, কী হয়েছে।

“একমাত্র মানুষ যদি মাস্ক না পরে, (সামাজিক) দূরত্ব না মানে, ইট উইল বি অলমোস্ট ইমপসিবল। মক্কা-মদিনা দেখেন, মদিনার ভেতরে ৩ ফিটের মধ্যে কাউকে আসতে দেবে না। মক্কাতে আপনি খেয়াল করে দেখেছেন কি না, নামাজ বা তাওয়াফ করে, কী রকম ডিসিপ্লিন মেনে চলছে মানুষ। সেজন্যই সৌদি আরব নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছে।”