রোববার স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে এইডিস মশার উপদ্রব ও ডেঙ্গু আক্রান্তের বাড়ার প্রেক্ষিতে করণীয় নির্ধারণ বিষয়ক সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি সভায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী ভর্তি হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয় সরকার বিভাগের ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ সমন্বয় সেল এবং ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনে তথ্য পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।
বর্ষা মৌসুম শুরুর পর থেকেই ঢাকাসহ দেশব্যাপী এইডিস মশাবাহিত এই ভাইরাস জ্বরের প্রকোপ দেখা দিয়েছে। ডেঙ্গু আক্রান্ত তিন জনের মৃত্যুর খবরও দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
অধিদপ্তর জানিয়েছে, শনিবার সকাল আটটা থেকে রোববার সকাল আটটা পর্যন্ত দেশে ১০৫ জন রোগী ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এ বছর এটাই একদিনে সর্বোচ্চ শনাক্ত রোগী।
নতুন ভর্তি রোগীদের মধ্যে ১০৪ জনই ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতাল ভর্তি হয়েছেন।
এদিকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর চিহ্নিত এইডিস মশার হটস্পটের এলাকাগুলোতে সোমবার থেকে চিরুনি অভিযান চালানো হবে।
প্রতিটি সিটি করপোরেশনে ১০ জন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অভিযান পরিচালনা করবেন বলে সভায় জানানো হয়।
সভায় ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন, গাজীপুরের মেয়র, স্থানীয় সরকার বিভাগ এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
তাজুল ইসলাম বলেন, মশক নিধনে নিয়মিত অভিযানের পাশাপাশি সরকারি-বেসরকারি যে হাসপাতালেই ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হবে তাৎক্ষণিকভাবে তাদের নাম, ঠিকানা ও মোবাইল নম্বর সেলে পাঠাতে হবে।
“রোগীর তথ্য পাওয়ার পর ওই ব্যক্তির বাসাবাড়ি চিহ্নিত করে পুরো এলাকায় বিশেষ মশক নিধন কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে।”
মশক নিধন অভিযানের সময় অনেক বাড়িতে কর্মীদের ঢুকতে না দেওয়ার অভিযোগ আসে জানিয়ে তিনি বলেন, অনেক সময় আক্রান্ত রোগীর আসল ঠিকানা না দিয়ে ভুল তথ্য দেওয়া হয়।
“এটি একজন সচেতন নাগরিকের কাজ হতে পারে না। কোথায় এইডিস মশার লার্ভা আছে তা জানালে আমরা সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নিব। মানুষের অংশগ্রহণ ছাড়া মশা নিধন সম্ভব নয়।”
এর আগে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ার প্রেক্ষাপটে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক জানিয়েছেন এই রোগে আক্রান্তদের চিকিৎসায় আলাদা হাসপাতাল নির্ধারণ করা হবে।
রোববার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় কনভেনশন সেন্টারে নির্মাণাধীন ফিল্ড হাসপাতাল পরিদর্শন শেষে তিনি এই কথা বলেন।
এ বছর এখর পর্যন্ত ১ হাজার ৫৭৪ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। যাদের মধ্যে এখনও ৪২২ জন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। বাকি ১ হাজার ১৪৯ জন চিকিৎসা শেষে বাড়ি ফিরেছেন।