শনিবার দুপুরে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব কনভেনশন হল পরিদর্শন শেষে সেখানে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী বলেন, “গত ১০ দিনে কমপক্ষে ৯০ হাজার করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে। সম্প্রতি রোগী বেড়েছে ৮ গুণ। ৮০ শতাংশ শয্যায় রোগী ভর্তি রয়েছে।”
দিন দিন রোগীর সংখ্যা বাড়তে থাকায় প্রধানমন্ত্রী দেশের সব হাসপাতালে কোভিড ইউনিটের শয্যা বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
তিনি বলেন, “বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব কনভেনশন হলে সুন্দর অবকাঠামো রয়েছে। বিদ্যুৎ ও পানির ব্যবস্থা রয়েছে। এখানে অক্সিজেনের ব্যবস্থা করা হবে। আইসিইউ, এইচডিউ শয্যার ব্যবস্থা করা হবে এবং জনবলের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান করা হবে।”
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক শারফুদ্দিন আহমেদ সংবাদ সম্মেলনে বলেন, কোভিড রোগীদের চিকিৎসায় ফিল্ড হাসপাতাল করার যাবতীয় প্রস্তুতি তাদের আছে।
“সরকারের প্রয়োজনীয় সহায়তা পেলে দ্রুততম সময়ের মধ্যে এই হাসপাতাল চালু করা হবে।”
বাংলাদেশে এ পর্যন্ত ১০ লাখ ৯ হাজার ৩১৫ জনের মধ্যে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েছে, মৃত্যু হয়েছে ১৬ হাজার ১৮৯ জনের।
আগে সংক্রমণের প্রকোপ মূলত মহানগর এলাকাগুলোতে বেশি হলেও এ ভাইরাসের অতি সংক্রামক ডেল্টা ধরন এখন গ্রামেগঞ্জে ছড়িয়ে পড়ায় আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যায় নতুন রেকর্ড হচ্ছে প্রায়ই।
পরিস্থিতি সামাল দিতে গত ১ জুলাই থেকে সারা দেশে চলছে লকডাউনের কঠোর বিধিনিষেধ। অতি জরুরি প্রয়োজন ছাড়া রাস্তায় বের হলে গ্রেপ্তার ও জরিমানাও করা হচ্ছে।
অলিগলি, চায়ের দোকান, বাজার-ঘাটসহ জনসমাগমের স্থানে করোনাভাইরাসের বিস্তার ঘটছে মন্তব্য করে এসব জায়গা নজরদারিতে আনার তাগিদ দেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
আগামী ‘এক-দুই মাসের মধ্যে’ অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ১০ লাখ ডোজ টিকা, চীনের সিনোফার্মের ৫০ লাখ ডোজ টিকা, যুক্তরাষ্ট্রের ফাইজারের ৬০ লাখ ডোজ টিকাসহ বিভিন্ন উৎস থেকে প্রায় পৌনে ২ কোটি ডোজ টিকা পাওয়া যাবে বলে ধারণা দেন তিনি।