চীনের উপহারের ৫ লাখ ডোজ টিকা দেশে এল

চীনের পক্ষ থেকে উপহার হিসেবে দেওয়া করোনারভাইরাসের পাঁচ লাখ ডোজ টিকা ঢাকায় পৌঁছেছে।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 12 May 2021, 07:16 AM
Updated : 12 May 2021, 10:04 AM

বুধবার সকালে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর একটি উড়োজোহাজে টিকার ওই চালান দেশে আসে। পরে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় আনুষ্ঠানিকভাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের হাতে টিকা তুলে দেন ঢাকায় চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং।

গত ২৯ এপ্রিল চীনা কোম্পানি সিনোফার্মের তৈরি এই করোনাভাইরাসের টিকা জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন দেয় বাংলাদেশ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও (ডব্লিউএইচও) এ টিকা ব্যবহারের সবুজ সংকেত দিয়েছে।

চীন সরকারের উপহার হিসেবে পাঠানো সিনোফার্মের পাঁচ লাখ ডোজ করোনাভাইরাসের টিকা নিয়ে বুধবার সকালে ঢাকায় পৌঁছায় বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর একটি সি-১৩০জে উড়োজাহাজ।

উপহারের জন্য চীনকে ধন্যবাদ জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী অনুষ্ঠানে বলেন, ”চীনের টিকা বাংলাদেশে পৌঁছে গেছে। আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রহণ করলাম। আমরা চীনের সরকার ও জনগণকে আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানাই দুঃসময়ে পাশে দাঁড়ানোর জন্য।

 ”চীনের সঙ্গে আমাদের দীর্ঘদিনের সহযোগিতার বন্ধন রয়েছে। পদ্মাসেতু, কর্ণফুলী টানেলসহ বড় বড় প্রকল্পে তারা আমাদের সহযোগিতা দিচ্ছে। এখন টিকা নিয়ে পাশে দাঁড়াচ্ছে।”

উহানে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার পর চীনকে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে চিকিৎসা সরঞ্জাম পাঠানোর কথা স্মরণ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, “আমরাও তাদের পাশে দাঁড়িয়েছি, উহানে করোনাভাইরাস দেখা দেওয়া এবং সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ার পর। তার বিপরীতে তারা আজকে সহযোগিতা করল।”

যে পাঁচ লাখ টিকা চীন পাঠিয়েছে, তা দুই ডোজ করে আড়াই লাখ মানুষকে দেওয়া যাবে জানিয়ে জাহিদ মালেক বলেন, “এটা আমাদের দুদিনেই লেগে যাবে।

”এর বাইরে আমরা চীনের কাছ থেকে আরও টিকা চাই। চীনের রাষ্ট্রদূতের বলেছেন, ডিসেম্বর নয়, জুন-জুলাইয়ের দিকে তারা আমাদের আরও টিকা দেওয়ার সর্বোচ্চ চেষ্টা করবেন। আমরা পর্যায়ক্রমে এই টিকা চাই।”

রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় বুধবার চীনের উপহারের টিকা হস্তান্তর অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। ছবি: আসিফ মাহমুদ অভি

চীনকে ধন্যবাদ দিয়ে অনুষ্ঠানে টিকার ‘যৌথ উৎপাদনের’ সম্ভাবনার প্রসঙ্গ তোলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন।

তিনি বলেন, “আমাদের খুব ভালো ভালো ওষুধ কোম্পানি রয়েছে। কাঁচামাল এনে আমরা এখানে যৌথভাবে উৎপাদন করতে পারি, যা উভয় দেশের জন্য লাভজনক হতে পারে।”

রাষ্ট্রদূত লি জিমিঙ বলেন, “পারস্পরিক সহযোগিতার ভিত্তিতে আমরা করোনাভাইরাস মহামারী মোকাবেল করে যাব। আশা করি, এর মাধ্যমে আমরা প্রাণঘাতি এই ভাইরাসকে সমূলে উৎপাটন করতে পারব।”

পুরনো খবর