পিটিআইয়ের বরাতে ভারতীয় ইংরেজি দৈনিক হিন্দুর এক প্রতিবেদনে বলা হয়, মঙ্গলবার ওয়াশিংটনে এক কনফারেন্স কলে ফাউচি কোভ্যাক্সিনের কার্যকারিতা নিয়ে এ তথ্য সাংবাদিকদের সামনে তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, “আমরা প্রতিদিনই এ বিষয়ে তথ্য-উপাত্ত পাচ্ছি। তবে আক্রান্তদের কনভালসেন্ট সেরা এবং ভারতে যারা কোভ্যাক্সিন টিকা নিয়েছেন, তাদের পর্যবেক্ষণ করে সর্বশেষ তথ্যে দেখা যাচ্ছে, এটা ৬১৭ ভ্যারিয়েন্টকে নিষ্ক্রিয় করতে পারছে।”
করোনাভাইরাসের নতুন ধরন নিয়ে ভারতকে এখন যে কঠিন পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যেতে হচ্ছে, তা মোকাবেলায় কোভ্যাক্সিন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে বলেই মনে করছেন ফাউচি।
ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিকেল রিসার্চ (আইসিএমআর) ও ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ভাইরোলোজির সহযোগিতায় ভারতীয় কোম্পানি ভারত বায়োটেক করোনাভাইরাসের টিকা কোভ্যাক্সিন তৈরি করেছে।
নিউ ইয়র্ক টাইমস মঙ্গলবার একটি প্রতিবেদনে লিখেছে, কোভ্যাক্সিন শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে এ করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে অ্যান্টিবডি তৈরি করতে শেখায়। এই অ্যান্টিবডি করোনাভাইরাসের প্রোটিন স্পাইক চিনতে পারে এবং তার বিরুদ্ধে কাজ করে।
এনডিটিভি লিখেছে, সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ে ধুঁকতে থাকা ভারতের দিল্লি ও মহারাষ্ট্রে করোনাভাইরাসের বি.১.৬১৭ ধরনটির প্রকোপ বেশি দেখা গেছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই ভ্যারিয়েন্টের স্পাইক প্রোটিনে তিনটি নতুন মিউটেশন বা পরিবর্তন এসেছে। ভাইরাসের এ ধরনটিই ভারতের মহামারী পরিস্থিতিকে নাজুক অবস্থায় ঠেলে দিয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ইতোমধ্যে বিশ্বের অন্তত ১৭টি দেশে করোনাভাইরাসের বি.১.৬১৭ ধরনটি পৌঁছে গেছে বলে মঙ্গলবার ধারণা দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।