রোববার কমিটির ২২তম সভা থেকে এই সুপারিশ করা হয় বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে। সভায় সভাপতিত্ব করেন জাতীয় কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ সহিদুল্লাহ।
কমিটির সিদ্ধান্ত জানিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “সমস্ত এয়ারলাইন কর্তৃপক্ষকে যাত্রার পূর্ববর্তী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে আরটি-পিসিআর দ্বারা কোভিড ১৯ পরীক্ষার নেগেটিভ রিপোর্ট ছাড়া যাত্রী পরিবহনে নিষেধাজ্ঞা প্রদান করা প্রয়োজন। এ নিয়ম কঠোরভাবে পালন করতে হবে।”
বিমানবন্দর, সমুদ্রবন্দর এবং স্থলবন্দরগুলোয় কোভিড-১৯ সনদ পরীক্ষা করা বাধ্যতামূলক করার পাশাপাশি ভুয়া রিপোর্ট সম্পর্কে সতর্ক থাকার পরামর্শও দিয়েছে জাতীয় কমিটি।
কমিটি মনে করে, কোনো কারণে কোভিড-১৯ নেগেটিভ সনদ ছাড়া কেউ দেশে এলে যাত্রীর নিজ খরচে কোয়ারেন্টিনে রাখা যেতে পারে।
“এক-দুই দিনের মধ্যে বিশেষ ব্যবস্থায় পরীক্ষা করে নেগেটিভ আসলে তাকে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিন থেকে ছেড়ে দেওয়া যেতে পারে। তবে প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে তাদের বাড়িতে কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করতে হবে। রিপোর্ট পজিটিভ হলে তাকে হাসপাতালে আইসোলেশনে রাখবে হবে।”
এসব সুপারিশ জোরালোভাবে বাস্তবায়ন করতে বলেছে জাতীয় কমিটি। নিয়ম অমান্যকারীদের জরিমানার সুপারিশও করা হয়েছে।
অক্সফোর্ড ও অ্যাস্ট্রাজেনকার ৩ কোটি ডোজ টিকা কিনতে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট এবং বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের মধ্যে ত্রিপক্ষীয় চুক্তি হওয়ায় স্বাগত জানিয়েছে জাতীয় কমিটি।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, “ছাত্রছাত্রীরা ভ্যাকসিন না পেলে বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ খোলা কঠিন। ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে ছাত্রছাত্রীদের ভ্যাকসিন দেওয়ার সম্ভাব্যতা যাচাই করা প্রয়োজন।”
এছাড়া কোভিড-১৯ সংক্রমিত ব্যক্তির চিকিৎসা নিশ্চিত করতে সেসরকারি হাসপাতালের অংশগ্রহণ, কোভিড-১৯ চিকিৎসায় সরকারের গাইডলাইন মেনে চলতে কঠোর নির্দেশনা দেওয়ার সুপারিশ করেছে জাতীয় কমিটি।